বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সেনাবাহিনীর সৈনিক শাহীন আলম (২২) হত্যার ঘটনায় ৩ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্লুলেস এ মামলার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো জীবন (২৩), সুমন ওরফে বিয়ার সুমন (২৫), ও জুম্মন (২২)।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।
গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান (পিপিএম বার)।
এরআগে গত ১৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩ টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট লেবুখালী, পটুয়াখালীতে কর্মরত সৈনিক (কুক) শাহীন আলম (২২) সাত দিনের ছুটি ভোগ করার জন্য নিজ বাড়ি চাঁদপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে তাঁর বন্ধু ফারহাবিব এর বাসায় (সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হিরাঝিল এলাকা) রাত্রিযাপন করতে যাচ্ছিল। এসময় মৌচাক ১০ তলার মোড়ের সামনে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে পেশাদার ছিনতাইকারী জীবন, সুমন ওরফে বিয়ার সুমন ও জুম্মন অটোরিকশা যোগে এসে শাহীনকে গতিরোধ করে। এসময় ছিনতাইকারীরা সৈনিক শাহীন আলম এর নিকট থাকা মানিব্যাগ, টাকা পয়সা ছিনতাইকালে সে বাধা প্রদান করায় ছিনতাইকারী জীবন ও সুমন তাদের হাতে থাকা সুইচ গিয়ার দিয়ে প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ সৈনিক শহীন আলমকে উদ্ধার করে দ্রুত সাইনবোর্ড এলাকার প্রো-এ্যাকটিভ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স যোগে আহত সৈনিক শাহীন আলমকে ঢাকা সিএমএইচ এ প্রেরণ করা হয়। পরে ভোর সাড়ে ৫ টায় সিএমএইচ এর কর্তব্যরত ডাক্তার সৈনিক শাহীন আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ঐ দিন রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা (২৯) দায়ের করেন।
পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামেন তদন্তে। ১৮ জানুয়ারি রাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পেশাদার ছিনতাইকারী জীবন, সুমন ওরফে বিয়ার সুমন ও জুম্মনকে গ্রেফতার করে।
এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ারটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ছিনতাই, দস্যুতা, মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত জীবন (২৩),নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সিআই খোলা এলাকার মো. আলী হোসেনের ছেলে। মো. সুমন মিয়া (২৫) সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার শওকত আলীর ছেলে এবং একই এলাকার আসলাম মিয়ার ছেলে মো. জুম্মন মিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।