Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাশিয়ার উপর আরো চাপ জার্মানি ও ন্যাটোর

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৩৬ পিএম

ইউক্রেন আক্রমণ করলে কড়া রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হবে রাশিয়াকে। বার্তা ন্যাটো প্রধান এবং জার্মান চ্যান্সেলরের।

যে কোনো মুহূর্তে রাশিয়ার সেনা ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। সোমবার এক বৈঠকে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শোলৎস এবং ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। সোমবার বার্লিনে এক বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। রাশিয়ার বর্তমান অবস্থান নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘ কথা হয়। তারপরেই নিজেদের আশঙ্কার কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেন তারা।

বৈঠকের পর শোলৎস বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের রাস্তা সবসময় খোলা আছে। কিন্তু রাশিয়াকে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। যুদ্ধের অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। শোলৎসের হুমকি, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে তার জন্য কড়া রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মূল্য দিতে হবে তাদের। রাশিয়া যা কল্পনাও করতে পারছে না। ন্যাটো এবং ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ন্যাটো প্রধান জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা আছে। রাশিয়া কী চায়, তা বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। কিন্তু তার আগে রাশিয়াকে যুদ্ধের পথ থেকে সরে আসতে হবে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। বস্তুত, রাশিয়া শেষ বৈঠকের পর জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ন্যাটোর আর কোনো বৈঠকে তারা অংশ নেবে না। স্টলটেনবার্গ রাশিয়াকে এই সিদ্ধান্তও পুনর্বিবেচনা করে দেখতে বলেছেন।

ন্যাটোর বক্তব্য, ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। রাশিয়ার গুপ্তচররা ইউক্রেনের ভিতরে ঢুকে যুদ্ধের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। যদিও রাশিয়া এই সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার বক্তব্য, ইউক্রেনকে কোনোভাবেই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না। ন্যাটো এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে, রাশিয়াও ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না।

২০০৮ সালে ন্যাটো ইউক্রেনকে তাদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ন্যাটো নতুন করে আলোচনা শুরু করেছিল। তারপরেই পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সেনা মোতায়েন করে।

অ্যামেরিকাও এদিন ফের রাশিয়াকে হুমকি দিয়েছে। বলা হয়েছে, সেনা না সরালে কড়া নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেবে অ্যামেরিকা। সোমবার মস্কোয় গিয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবকও রাশিয়াকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে এসেছেন। সূত্র: রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ