Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ন্যাটোর কাছে জবাব চায় রাশিয়া

৩+৩ বিন্যাসের আওতায় ককেশাশ সমস্যা সমাধানে গুরুত্বারোপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৬ এএম

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর কাছে পূর্বমুখী সম্প্রসারণ না করার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু ন্যাটো বলেছে, এটা নিয়ে কারও কথা শুনবে না তারা। এমন উত্তেজনার মধ্যে ন্যাটোর কাছে রাশিয়া আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত জবাব চাইল। শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, পশ্চিমা জবাবের জন্য তারা অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না। এক সংবাদ সম্মেলনে লাভরভ বলেন, আমাদের ধৈর্য্য শেষ হয়ে গেছে। পশ্চিমারা অযৌক্তিক গর্ব দ্বারা চালিত হয়ে নিজেদের দায়িত্ব ও বোধের লঙ্ঘন করে উত্তেজনা জিইয়ে রেখেছে। এ সময় রুশ এই শীর্ষ কূটনীতিক আগামী সপ্তাহের মধ্যে ওয়াশিংটন এবং ন্যাটোর কাছে তাদের সিদ্ধান্তের লিখিত জবাব দাবি করেন। পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে মরিয়া ইউক্রেন। তবে এতে নারাজ রাশিয়া। গত বছর শেষের দিক থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে লাখো সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো। তাদের দাবি, ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করা যাবে না। ইউরোপের পূর্ব দিকে আর বিস্তার ঘটানো যাবে না ন্যাটোর। ২০১৪ সালে এক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে উৎখাত হয় তৎকালীন ইউক্রেন সরকার। ওই সরকার পশ্চিমাবিরোধী এবং রাশিয়ার পক্ষে ছিল। ইউক্রেনের রুশপন্থি সরকারের পতনের পর দেশটির অধীনে থাকা ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। এ ছাড়া পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেয় রাশিয়া। এসব ঘটনায় ১৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। ইউক্রেন সংঘাতকে ঘিরে উত্তেজনা প্রশমিত করতে গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন দুই বার টেলিফোনে আলাপ করেন। তুরস্ক ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, দক্ষিণ ককেশাশ অঞ্চলে তুরস্কের সাথে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে রাশিয়া যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছে তার ফলে এখানকার উত্তেজনা নিরসন হয়েছে। এ যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়েছে। তিনি বলেন, রাশিয়া সব সময় প্রস্তাবিত ৩ + ৩ বিন্যাসের আওতায় ককেশাশ অঞ্চলের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়। ৩ + ৩ বিন্যাসের আওতায় রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের সাথে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও জর্জিয়া যৌথভাবে কাজ করবে। এ ধরনের (আঞ্চলিক সংস্থা গঠনের) পদ্ধতির কথা প্রস্তাব করেছে আজারবাইজান আর দেশটির এ প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে তুরস্ক। এর মাধ্যমে ককেশাশ অঞ্চলের সমস্যাগুলো সমাধান করা সহজ হবে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পর্যালোচনা করে দেখেছি এটা একটি ভালো সমন্বিত প্রচেষ্টা হবে। আমরা এ কথাও বলতে চাই যে জর্জিয়াকেও এ সমন্বিত প্রচেষ্টায় (সংস্থা) শামিল হতে হবে। এর মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে এবং এ অঞ্চলে দ্বন্দ্ব কমবে। এছাড়া এ ছয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাও বাড়বে। আনাদোলু এজেন্সি, ইয়েনি শাফাক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ