পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তেলের দাম বাড়ানোর পর এবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এলএনজিতে ভর্তুকি সামাল দিতেই এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি’র বৈঠকে অর্থ বিভাগ থেকে দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর পেট্রোবাংলা থেকে নির্দেশনার মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো এই প্রস্তাব তৈরির কাজ শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহেই কোম্পানিগুলো প্রস্তাব জমা দেওয়া শুরু করতে পারে বলে সূত্রগুলো জানায়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই সভায় বলা হয়েছিল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম সমন্বয় বা বৃদ্ধি করা না হলে বাজেটে ভর্তুকি ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। যার পরিমাণ হতে পারে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশ। ফলে টাকার অঙ্কে ভর্তুকি ব্যয় বাজেটে প্রক্ষেপণের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সরকারের উচিত ২০২২ সালের শুরুতে এসবের দাম সমন্বয় করা। অন্ততপক্ষে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম দ্রæত বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয় সেই সভায়।
সভায় আরও বলা হয়, সরকার সার্বিক ভর্তুকি ব্যয় নিয়ে চিন্তায় আছে। এই ভর্তুকি কমানোর জন্য বিদ্যুৎ, সার ও গ্যাসের দাম সমন্বয় (বৃদ্ধি) করার প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে বাজেটের ওপর চাপ বেড়ে যাবে। আর্থিক খাত একটি বিশৃংখলার মধ্যে পড়তে পারে। তাই সারের দাম না হলেও গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম যেন আগামী বছরের শুরুতেই অর্থাৎ চলতি বছরের শুরুতেই সমন্বয় করা হয়।
জ্বালানি বিভাগ জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়াতে চলতি বছর সার, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসে ৭০ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি প্রয়োজন হবে। কিন্তু বাজেটে মাত্র সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি রাখা হয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকির সংস্থানে দাম বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক কর্মকর্তা জানান, এরমধ্যে পশ্চিমাঞ্চল ও জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলেও তা বিধিসম্মত না হওয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। তিতাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, তারা পেট্রোবাংলার নির্দেশনায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব তৈরি করছে। আগামী সাপ্তাহে নাগাদ সেটি কমিশনে জমা দেওয়া হতে পারে। একইসঙ্গে তারা মার্জিন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেবে। প্রতি ঘনমিটারে ৫৪ পয়সা মার্জিন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বাড়ছে। গত অক্টোবরের দিকে ভারত প্রায় ৬২ ভাগ গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। আমরা সে তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছি। যে কার্গো আমাদের আগে ছিল ১০ ডলার পার এমএমবিটইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট), সেখানে এখন তা ২৮ থেকে ৩০ ডলারে উঠে গেছে। প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দাম বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। পেট্রোবাংলা এবার নিজে নয়, কোম্পানিগুলো যার যার মতো দামের প্রস্তাব জমা দেবে কমিশনের কাছে।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। তবে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১ জুলাই গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বাসাবাড়িতে দুই চুলার খরচ ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা আর এক চুলার খরচ ৭৫০ টাকা থেকে ৯২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়া সিএনজি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি ঘনমিটার ৪৩ টাকা এবং বিদ্যুৎ ও সারের জন্য ৪.৪৫ টাকা। হোটেল রেস্তোরাঁয় প্রতি ঘন মিটার ২৩ টাকা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩.৮৫ টাকা, শিল্প ও চা বাগানে ১০.৭০ টাকা,ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭.০৪ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।