Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শত মানুষের প্রাণ বাঁচানো স্বর্ণপদক জয়ী ইঁদুরের মৃত্যু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:৫২ এএম

দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো ইঁদুরটির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটিতে বলেছে, আট বছর বয়সী মাগওয়া আর নেই।

এক শোক বার্তায় অ্যাপোপো আরও বলে, আমরা মাগওয়ার হারিয়ে যাওয়া অনুভব করছি। যে অবিশ্বাস্য কাজ সে করেছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তার অবদানের ফলেই কম্বোডিয়ার মানুষ ভয় ও জীবন হারানোর শঙ্কা ছাড়িয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-যাপন করতে পারে।

আফ্রিকার দেশ তানজানিয়াভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো প্রাণীটিকে প্রশিক্ষণ দেয়। মাগওয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা তানজানিয়ায়। ওজন ছিল ১ দশমিক ২ কিলোগ্রাম, লম্বা ৭০ সেন্টিমিটার। এই প্রজাতির ইঁদুর অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক বড় হলেও মাগওয়া ছিল ছোট ও হালকা-পাতলা গড়নের।

পেশাজীবনে মাগওয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় শতাধিক স্থলমাইন ও অবিস্ফোরিত গোলা শনাক্ত করেছে। স্থলমাইন শনাক্তের মতো অতিঝুঁকিপূর্ণ বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য গত বছর মাগওয়া স্বর্ণপদক জিতেছিল। ২০২০ সালের জুনে তাকে অবসর দেওয়া হয়।

বহু প্রাণঘাতী যুদ্ধের সাক্ষী কম্বোডিয়া। সেখানে এখনও বহু জায়গায় মাটির নিচে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখা আছে। সেইসব ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মাঝেমধ্যেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মাগওয়ার ল্যান্ডমাইন খোঁজার কাজে লাগানো হতো। যে জায়গা ব্লুডিটেকটর হাতে নিয়ে পরীক্ষা করতে প্রায় চারদিন সময় লাগবে সেখানে ৩০ মিনিটে সফলভাবে সার্চ অপারেশন চালাতো মাগওয়া।

কম্বোডিয়ায় ৬০ লাখের বেশি স্থলমাইন রয়েছে। স্থলমাইন অপসারণে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) হালো ট্রাস্টের তথ্যমতে, ১৯৭৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়ে দেশটিতে ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সত্তরের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত চলা দেশটির গৃহযুদ্ধের সময় এসব মাইন পুঁতে রাখা হয়। সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তানজানিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ