বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নানা বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার পক্ষে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। সোমবার সাম্প্রতিক নানা ইস্যু নিয়ে নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
নাসিক নির্বাচন নিয়ে শামীম ওসমানের দেয়া এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কথা বলছেন নেটিজেনরা।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান বলেন, কোনো দল-মতের কারণে আমি রাজনীতিতে আসিনি। রাজনীতি করতে এসেছি জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে। রাজনীতি করতে এসেছি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে। আমি নৌকার বিরুদ্ধে না, নৌকা প্রতীক আমাদের রক্ত দিয়ে কেনা প্রতীক। আজ থেকে নৌকার হয়ে মাঠে নামলাম।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন এলেই আমাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। নির্বাচনের সময় আমি কেন সাবজেক্ট ম্যাটার হবো, জানতে চাই। এখন আমার অবস্থা গরিবের ভাবির মতো। ও বলে আমি তার, সে বলে আমি তার।
তাকে গডফাদার কেন বলা হয়, এমন প্রশ্নে এই রাজনীতিবিদ বলেন, কারও ইচ্ছা হলে গডফাদার বলে, বলতে পারে। কেউ ব্রাদার বলতে চাইলে বলতে পারেন। আবার ফাদার বললে বলতে পারেন, তবে মাদার বলেন না। তবে কে কী বললো আমি কেয়ার করি না। কেউ কিছু বলে শান্তি পেলে বলুক, বলতে দেন। আমি নীলকণ্ঠের মতো, সব হজম করতে পারব।
এই ইস্যুতে এমডি রাজু ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘শামীম ভাইকে ছাড়া নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ অচল হয়ে যাবে। কারণ আমরা শামীম ভাইয়ের জন্যই রাজনীতি করি। নৌকা-শামীম ভাই যেখানে, আমরা আছি সেখানে। শামীম ভাই আছে বলেই নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ আছে। এটা সত্য কারণ রাজপথে এ কে এম শামীম ওসমান সাহেবের থাকেন। আইভী কখন রাজপথে থাকে নি, দেখি নাই। তাই আমরা শামীম ওসমানের সৈনিক। জীবন দিতে রাজি আছি, ইনশা আল্লাহ।’
ওয়াহিদ চৌধুরীর পরামর্শ, ‘মেয়র আইভি রহমান শব্দ চয়নে আরেকটু সংযত হওয়া উচিৎ। কথায় কথায় দলের সিনিয়র নেতাকে গডফাদার বলা ও পরিবার নিয়ে কথা বলা সঠিক নয়। কেন্দ্রের নেতাদের উচিৎ উভয়কে নিয়ে বসে বিষয়টা সমাধান করে দেওয়া।’
শাকিল মৃধা লিখেছেন, ‘শামীম ওসমান সাহেবের বিকল্প নারায়নগঞ্জে এখনো তৈরি হয় নি। একজন অসাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।’
সিরাজ মিয়া মনে করেন, ‘অনর্থক শামীম ওসমানকে গডফাদার বলে অসম্মান করা হয়েছে। শামীম আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান।’
মো. আশরাফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘শামীম ওসমান এবং আইভী দিনশেষে জননেত্রী শেখ হাসিনার লোক। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক এবং অভিন্ন। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’
কাওসার আহমেদ লিখেছেন, ‘যে যেই দলই করুক না কেন নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান একটা ফ্যাক্ট। তাই তার যেকোন দিকে অবস্থান একটা বিশাল ভূমিকা রাখে।’
ইমতিয়াজ আলী বলছেন, ‘আমার দৃষ্টিতে মেয়রপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ভুল কিছু বলেন নি।’
রেজাউল করিমের দাবি, ‘শামীম ওসমান বা আইভী যে দিকে অবস্থান নেক না কেন, এখানে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে তৈমুরই জিতবে।’
এদিকে মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘দল যেহেতু আমাকে নমিনেশন দিয়েছে তাহলে নিশ্চয়ই দল আমার পাশে আছে। দলের ভেতর থেকে কে আসবে কে আসবে না সেটা আমার দেখার বিষয় নয়, সেটা কেন্দ্রীয় নেতারা দেখবেন।’
শামীম ওসমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার আস্থা সব সময় আমার জনগণ। উনি (শামীম ওসমান) কীভাবে মাঠে থাকবেন, উনি একজন সংসদ সদস্য। তারা মাঠে থাকলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। আমি আবারও গণমাধ্যমের কাছে বলি আমার আস্থা সব সময় জনগণের প্রতি, আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। এর বাইরে আর কিছু বলতে চাই না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।