মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত দু’বছরে ছোটদের করোনা সংক্রমণের ঘটনা কমই চোখে পড়েছে। মহামারির একেবারে গোড়ায় প্রবীণেরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ডেল্টা স্ট্রেনে মাঝবয়সিদের বেশি ভুগতে দেখা গিয়েছে। বর্তমানে ওমিক্রন স্ট্রেনে ছোটদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। ওমিক্রনে প্রাণসংশয় হয়তো কম, কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে অনেক শিশুরই টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবিটিস ধরা পড়ছে। এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি)। ইউরোপে ইতিমধ্যেই এ রকম একাধিক ঘটনা রিপোর্ট করেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে ছোটদের। কারও কারও ‘ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস’ দেখা যাচ্ছে। এতে রক্তে উপস্থিত শর্করা থেকে শক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইনসুলিন যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি হয় না। এ অসুখে শিশুর প্রাণসংশয়ও ঘটতে পারে।
সিডিসি জানিয়েছে, মেডিক্যাল ইনসিয়োরেন্সের নথি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে আমেরিকাতেও কোভিডের পরে ১৮ বছর বয়সের নীচে ডায়াবিটিস আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। সিডিসি-র গবেষক শ্যারন সায়াদ বলেন, ‘‘ডায়াবিটিসের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেড়ে যাওয়া কিন্তু খুবই বিপজ্জনক।’’ রিপোর্টের মূল লেখক সায়াদ জানিয়েছেন, কিছু বিষয় এখনও অস্পষ্ট। যেমন, কোভিডের পরে ধরা পড়া ডায়াবিটিস মারাত্মক আকার নেবে কি না জানা নেই। এ-ও স্পষ্ট নয়, এটি সাময়িক অসুস্থতা নাকি।
যে সব বাচ্চা কোভিড আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের বাবা-মায়ের জন্য সায়াদের পরামর্শ, ‘‘ভাল করে সন্তানের উপরে নজর রাখুন। ডায়াবিটিসের কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে যান। যাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।’’ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদেরও বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন সায়াদ।
যে সব শিশু এখনও কোভিড আক্রান্ত হয়নি, তাদের মা-বাবাকে সায়াদের নির্দেশ— ‘‘অবশ্যই সন্তানকে মাস্ক পরান, পরিবারের বাইরে মেলামেশা থেকে আপাতত দূরে রাখুন।’’ আমেরিকায় ৫ বছর বয়স পর্যন্ত টিকাকরণে ছাড়পত্র রয়েছে। ইউরোপেও ছোটদের টিকাকরণ চলছে। কিন্তুর বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে বাচ্চাদের টিকাকরণ এখনও শুরু হয়নি। এই সব দেশে শিশুদের কোভিড থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন সায়াদ। কারণ শুধু ভাইরাসের আক্রমণ নয়, তার পরে থাকছে ডায়াবিটিসের মতো রোগের আশঙ্কাও।
করোনা-বিধি ছাড়াও ছোটদের শরীরচর্চায় যুক্ত করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অতিমারিতে গৃহবন্দি দশায় ওজন বাড়ছে। বাচ্চাদের অস্বাভাবিক ওজন-বৃদ্ধিও ডায়াবিটিস ডেকে আনতে পারে। সূত্র: এপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।