Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিজেকে অমানবিক দেখাতে ১৪ লাখ টাকা খরচ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ৪:১৫ পিএম

শরীরে যতটা অংশ চোখে পড়ে, কেবলই বিচিত্র সব ট্যাটু। পাজল বা জ্যামিতিক নকশা লেগে আছে চোখে মুখে গালে। এমন সব ট্যাটু, যার দরুণ এক যুবককে সুন্দর দেখতে তো লাগছেই না, বরং বলতে গেলে তাকে অদভূতদর্শন করে তুলেছে।

এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন জার্মানির ওরে পর্বতের ২৮ বছর বয়সী ওই যুবক পেশায় একজন বডি মডিফিকেশন শিল্পী। তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে তিনি ‘ব্ল্যাক ডিপ্রেশন’ নামে পরিচিত। নিজেকে ‘যতটা সম্ভব অমানবিক’ দেখতে চান তিনি এবং এর জন্য ১২ হাজার ৫০০ পাউন্ড (বাংলাদেশী মুদ্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকারও বেশি) খরচ করেছেন। তিনি তার মুখে জিগস পাজলের মতো দেখতে ট্যাটু করেছেন, কানের কার্টিলেজের অংশগুলো কেটে ফেলেছেন।

কিন্তু এখানেই তো শেষ নয়। অদ্ভুতদর্শন হয়ে উঠতে গিয়ে এই যুবক যা করেছেন, শুনলে চোখ কপালে উঠবে। কান ও নাক দুটোকেই বিকৃত করেছেন। টাইটেনিয়াম দিয়ে দাঁতের সারি বদলে ফেলেছেন কায়দা করে। এমনকী রং করেছেন চোখের মণিতেও। সব মিলিয়ে যুবকের একটাই লক্ষ্য, মানুষের মতো যেন তাকে দেখতে না লাগে। একেবারে তো সব বদলে ফেলা যায় না, তবু যতদূর সম্ভব। যুবক সে চেষ্টার কসুর করছেন না।

অবশ্য, সাধারণ মানুষের কাছে যা অস্বস্তিকর আজব শখ বলে মনে হতে পারে, যুবকের কাছে তা আসলে শিল্প। তিনি বলছেন, এ হল বডি মডিফিকেশন আর্ট। আর এরকম শিল্প সত্যিই আছে। এবং সেখানে যাবতীয় কারিকুরির জায়গা হচ্ছে শরীর। অর্থাত মানুষের শরীরই হল এই ধরনের শিল্পীদের কাছে ক্যানভাস। তবে এই যুবক সেই শিল্পকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন বলাই যায়।

যখন তার বিশ বছর বয়স, তখন থেকেই এই শিল্পের প্রতি তার টান। নিজের শরীরকে ক্যানভাস করে অন্যরকম হয়ে ওঠার নেশা পেয়ে বসে তাকে। তবে গোড়াতেই তিনি ঠিক করে নেন, স্রোতে গা ভাসাবেন না। বডি মডিফিকেশনের নামে এখনও অব্দি যা যা হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে কিছু করবেন। নিজের জিভকে বিকৃত করেছিলেন বহুদিন আগে। সেই শুরু।

সারা বিশ্বে এই নিয়ে যা কাজ হয়, সে সবের দিকে নজর তো রাখছিলেনই, পাশাপাশি শুরু করে দেন নিজের ভাবনাচিন্তাও। কীভাবে নিজেকে সবার থেকে আলাদা করবেন, এই ভাবতে ভাবতেই শুরু হয় নিজের শরীর নিয়ে পরীক্ষা। ঠিক করেন, মানুষের মতো তাকে যাতে দেখতে না লাগে, সেভাবেই নিজেকে বদলে ফেলবেন তিনি।

এরপরই সারা মুখে উঠে আসে পাজল বা নকশার ট্যাটু। তারপর তো দাঁতে টাইটেনিয়াম থেকে চোখের মণিতে রং, সবই হয়েছে। এখন তিনি এমন কিম্ভূত দেখতে হয়েছেন যে, সাড়া ফেলে দিয়েছেন নেটদুনিয়ায়। ক্রমশ নিজের লক্ষ্যের অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছেছেন তিনি, এবং প্রত্যাশিত ভাবেই সারা বিশ্বে পরিচিতিও পেয়েছেন। সূত্র: ডেইলি মেইল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জার্মানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ