মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বিশ্বজুড়ে ভয়াবহতা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে পশ্চিম ইউরোপে তার প্রকোপ বেশি। এমন অবস্থায় এসব অঞ্চলে করোনাভাইরাসের টিকা বিষয়ক বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে বিপুল পরিমাণ মানুষ। বিক্ষোভ হয়েছে ফ্রান্সে, জার্মানিতে, অস্ট্রিয়ায় ও ইতালিতে। শুধু ফ্রান্সেই এক লাখের বেশি মানুষ বিক্ষোভ করেছে। যারা টিকা নেননি, তাদের অধিকারকে সীমাবদ্ধ করতে সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছে এই বিক্ষোভ তার বিরুদ্ধে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভকারীরা শনিবার প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় তাদের বেশির ভাগের মুখে কোনো মাস্ক ছিল না। তাদের অনেকের হাতে দেখা গেছে ইংরেজি শব্দ ‘ট্রুথ’ ‘ফ্রিডম’ এবং ‘নো টু ভ্যাক্সিন পাস’ লেখা প্লাকার্ড। বিক্ষোভ থেকে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। কারণ যারা টিকা নেননি তাদের জীবনকে তিনি গত সপ্তাহে জটিল করে তোলার ঘোষণা দেন। বিক্ষোভ থেকে ম্যাখোঁকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। শুক্রবার একদিনে ফ্রান্সে যখন কমপক্ষে তিন লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তার পরের দিনই এমন বিক্ষোভ হলো। এর আগে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ একটি বিল অনুমোদন করে। তার অধীনে কোথাও খেতে গেলে, সফরে গেলে অথবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিলে পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা নেয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে। সরকার ঘোষণা দিয়েছে নতুন এই বিধিবিধান আগামী ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে সিনেট তা বিলম্বিত করতে পারে। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন কমপক্ষে এক লাখ ৫ হাজার ২০০ মানুষ। শুধু রাজধানী প্যারিসে অংশ নিয়েছেন ১৮ হাজার। এদিন পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ১০ জনকে। তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা সামান্য আহত হয়েছেন। এর বাইরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৪ জনকে। সাতজন পুলিশ আহত হয়েছেন। টুলনের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৬০০০ বিক্ষোভকারী। তাদেরকে নিবৃত্ত করতে মন্টপেলিয়ার পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষোপ করেছে। ওদিকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বিক্ষোভ করেছেন কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষ। এ দেশটিতে আগামী মাস থেকে টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। শনিবার জার্মানির বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে হ্যামবার্গে। এতে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ১৬০০০ মানুষ। বিক্ষোভে দেখা গেছে ‘এনাফ! হ্যান্ডস অফ আওয়ার চিলড্রেন’ লেখা ব্যানার। জার্মানিতে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের বাধ্যতামূলক টিকা নেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গত মাস থেকে সেখানে এই টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। বার্লিনে গাড়ি এবং বাইক বহর নিয়ে বিক্ষোভ হয়। পুলিশ বলেছে, এতে যোগ দিয়েছিল কমপক্ষে ১০০ গাড়ি, ৭০টি বাইক এবং সব মিলে প্রায় ২০০ মানুষ। এ বিষয়ে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লুটারব্যাচ বলেছেন,ক্ষুদ্র একটি গ্রুপের লোকজন বৈজ্ঞানিক সব জ্ঞানকে উল্টে দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা ইচ্ছা করে এক বোগাস সত্যে প্রবেশ করছে। বিক্ষোভ হয়েছে ইতালিতে। সেখানকার তুরিন শহরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন কয়েক শত মানুষ। দেশটিতে কমপক্ষে ৫০ বছর বয়সীদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে সেখানে। রয়টার্স ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।