বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আবারও এক আওয়ামী লীগ নেতা আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা, ভিডিও ধারণ ও পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিআইপি মো. রফিকুল ইসলাম লিটনের বহিষ্কার চায় উপজেলা আওয়ামী লীগ।
গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ছয় ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদকদের স্বাক্ষরিত লিখিতে আবেদনে বহিষ্কারের এ দাবি জানানো হয়। আবেদনে লিটনের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
চিঠিতে জানানো হয়, অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে নিজের লোক দিয়ে ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার মতো গুরুতর অপরাধে লিপ্ত থেকে সিআইপি লিটন দলীয় ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছেন। এ জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। সরকারের সিআইপি পদকপ্রাপ্ত একজন রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে দেশের মানুষ এমনটা আশা করেনি বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজাপুর উপজেলা কমিটির সহসভাপতি থেকে লিটনকে আজীবনের বহিষ্কার চেয়েছেন নেতাকর্মীরা।
লিটন রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালী এলাকার মোজাম্মেল হকের তৃতীয় পুত্র ও গালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া পারভেজের ছোট ভগ্নিপতি।
এর আগে গত দুই সপ্তাহ ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের মোবাইল ম্যাসেঞ্জার, ইমো ও ফেসবুকে আপত্তিকর এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান লিটন জানান, ভিডিওটি দেশের বাইরের হওয়ায় ভিকটিমের পক্ষ থেকে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। কারও অপকর্মের দায় দল নেবে না। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগ যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এ ব্যাপারে জানতে রফিকুল ইসলাম লিটনকে তার ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, রফিকুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে রাজাপুর উপজেলার ১১ জন ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের সাধারণ সম্পাদক মহোদয় ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি সুস্থ হয়ে ফেরার পর বিষয়টির তদন্ত করা হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে লিটনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।