বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভি টানা ১৯ বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন প্রশাসনের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নৌকার প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী। আমি মনে করি, এটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন। এই নির্বাচনে নৌকার যেমন কোনো বিকল্প নাই, সেলিনা হায়াৎ আইভী'রও কোনো বিকল্প নাই।
পরশ বলেন, ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আইভী। তিনি গত দুই দশক ধরে নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করে যাচ্ছেন। নেত্রীর এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায়, তিনি সৎ, মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জবাসীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য।
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আজ ৮ জানুয়ারি শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি পুল বাজার সংলগ্নে নৌকা মার্কার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী’র পক্ষে নির্বাচনী পথসভায় যুবলীগ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। নির্বাচনী পথসভায় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
পথসভা শেষে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন এবং জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে নৌকা মার্কার প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী’র পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।
পরশ বলেন, ডাঃ আইভীর সবচেয়ে বড়ো শক্তি তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি। নারায়ণগঞ্জে ডাঃ আইভীর যে ভাবমূর্তি তা আজ আমাদের নৌকার জয়ের পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভি'র সততা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান, সাধারণ মানুষের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতার কারণে একটা নিজস্ব ভোটব্যাংকও তার রয়েছে। নারী ভোটারদের কাছে তার জনপ্রিয়তা আমাদের জয়ের জন্য আরেকটা মূখ্য ভূমিকা রাখবে। আমরা যদি নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে পারি, তাহলে ১৬ তারিখে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। আমি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ মহানগর যুবলীগের সকল নেতৃবৃন্দকে বলতে চাই, আপনারা যেভাবেই কাজ করুন, এই নির্বাচনকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নাই।
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন অবশ্যই একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সকল বিধিনিষেধ মেনে শেষদিন পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। এই নির্বাচনে জয়লাভ করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিএনপি-জামাতকে সঙ্গবদ্ধ হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে যদি কোনো কারণে নৌকা পরাজিত হয়। নারায়ণগঞ্জ ভৌগোলিকভাবে এমন একটি জায়গায় অবস্থিত যেখান থেকে সরকারকে যেকোনো মুহূর্তে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা যায়। তাই এই নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিআইপি সুব্রত পাল, রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক শামসুল আলম অনিক, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, সহ সম্পাদক-তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল, আব্দুর রহমান জীবন, এহতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, কার্যনির্বাহী সদস্য-মহিউদ্দিন খোকা মজুমদার, এবিএম আরিফ, ব্যারিস্টার মৌসুমি ফাতেমা, অলিদ হোসেন, মজিবুর রহমান মুজিব, ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।