পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের কাছ থেকে ৩০টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার ক্রয় বাতিল করেছে পাকিস্তান, দেশটির কয়েকটি গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করে। তবে পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, খবরটি ভিত্তিহীন। সেনাবাহিনী বলছে, গণমাধ্যম বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। শুক্রবার এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের মহাপরিচালক বাবর ইফতিখার। বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের কাছ থেকে ৩০টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার নিয়ে আইএসপিআর যে বিবৃতি দিয়েছিল, কিছু গণমাধ্যম সেটি ভুলভাবে তুলে ধরেছে। এটি পরিষ্কার যে, পাকিস্তান কখনো তুরস্কের কাছ থেকে হেলিকপ্টার ক্রয় করার চুক্তি বাতিল করেনি। এ বিষয়ে যে সমস্ত খবর বের হয়েছে, তার সবগুলো ভিত্তিহীন। এর আগে আইএসপিআরের দেওয়া বিবৃতির বরাতেই পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করেছিল, পাকিস্তান তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি থেকে সরে এসেছে। বর্তমানে এ নিয়ে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তির জন্য দর কষাকষি চলছে। তুরস্কের ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয় , ইসলামাবাদ এখন চীনের উন্নততর জেড-১৯এমই মডেলের হেলিকপ্টার কেনার চেষ্টা করবে। এটি চীনা জে-১০ এর আপগ্রেডেড সংস্করণ। যদিও পাকিস্তানে পরীক্ষার সময় চীনা হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন খারাপ পারফরমেন্স দেখিয়েছে। তবে এখন পাকিস্তানের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। ২০১৮ সালে তুরস্ক থেকে ৩০টি টি১২৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টার ক্রয়ে সম্মত হয় পাকিস্তান। এই হেলিকপ্টারগুলোর ইঞ্জিন তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এলএইচটিইসি। ফিলিপাইনের ক্ষেত্রে একই ধরণের ইঞ্জিন রপ্তানিতে অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তারা সেটি আটকে দেয়। ধারণা করা হয়, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্রয়ের কারণে তুরস্ককে শাস্তি দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ডেইলি সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।