Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে চাকরি সঙ্কট আরও ভয়াবহ হচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:১০ পিএম

বর্তমান সময়ে ভারতের অন্যতম বড় সঙ্কট বেকারত্ব। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশেরও বেশি, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ভারতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিএমআইই’র এক পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

ভারতের বেকারত্ব ও চাকরি সংকটের কিছু চিত্র তুলে ধরা ওই পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, একটি ড্রাইভার পদের চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন ১০ হাজার চাকরিপ্রার্থী। ওই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য প্রার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল দশম শ্রেণি পাস। কিন্তু আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকে ছিলেন স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমবিবিএস পাস। এমনকি দেশটির সিভিল জাজ পদের প্রার্থীরাও পিয়ন, গাড়িচালক ও ওয়াচম্যানসহ নানা নিম্ন পদের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন।

গত সপ্তাহে, ভারতে একজন আইন স্নাতক ড্রাইভার হিসাবে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। জিতেন্দ্র মৌর্য নামের ওই চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘আমি ল গ্র্যাজুয়েট হয়েও গাড়িচালক পদে আবেদন করেছি। আমি বিচারক নিয়োগের পরীক্ষায় অংশ নিতেও প্রস্তুতি নিচ্ছি। মাঝেমধ্যে এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে, বই কেনার মতো টাকা থাকে না। তাই ভেবেছি, যেমনই হোক না কেন, একটা চাকরি পেতে হবে।’

ওই পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা অজয় বাঘেল নামের আরেক প্রার্থী বলেন, ‘আমি সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট। আমি পিয়ন পদের জন্য আবেদন করেছি। যারা পিএইচডি করেছেন, তাদের অনেকেই এ চাকরির জন্যও আবেদন করেছেন।’ ভারতের সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্বেগ, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বাড়ার সাথে সাথে চাকরি সঙ্কট আরও প্রকট আকারে সামনে আসবে।

বেশিরভাগ দেশে ২০২০ সালে বেকারত্ব বেড়েছে। কিন্তু ভারতের হার বাংলাদেশ (৫ দশমিক ৩ শতাংশ), মেক্সিকো (৪ দশমিক ৭ শতাংশ) এবং ভিয়েতনাম (২ দশমিক ৩ শতাংশ) এর মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলিকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভারতের বেকারত্ব উদ্বেগজনক কারণ দেশের প্রবৃদ্ধি আবার শুরু হওয়ার পরেও, তারা অন্যান্য দেশের তুলনায় সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ডক্টর কৌশিক বসু বলেন, ‘সরকারের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শ্রমিকদের সহায়তা করতে হবে।’ এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী মোদির শাসনামলে ‘মেরুকরণ এবং ঘৃণার রাজনীতি’ সাধারণ মানুষের ‘বিশ্বাসের ক্ষতি’ করে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্নিহিত চালক।

মোদি, যিনি ২০১৪ সালে প্রচুর চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তিনি মূল শিল্পগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছেন এবং স্থানীয় উৎপাদনকে উত্সাহিত করার জন্য একটি উচ্চাভিলাষী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রচার চালাচ্ছেন৷ এর কোনোটিই এখন পর্যন্ত উৎপাদনের দিকে পরিচালিত করেনি - এবং চাকরী সঙ্কট হতাশাজনকভাবে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র: বিবিসি নিউজ।



 

Show all comments
  • Saifullah ৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:১২ পিএম says : 0
    উগ্রপন্থী প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো চা বিক্রি শুরু করুন
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Aman Ullah Talukder ৮ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:১৯ এএম says : 0
    ভারতের ফাঁকা বুলি,দাম্ভিকতা ও বিভাজন ভারতকে শেষ করে দিয়েছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভয়াবহ

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ