Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবহারিক নম্বর না পাঠানোয় অকৃতকার্য হলো কুষ্টিয়ার ৪২ শিক্ষার্থী!

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রির্পোটার | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:০৬ পিএম

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার বিল্ডিং মেইনটেনেন্স ট্রেডের প্রাকটিক্যাল নম্বর না পাঠানোই ৪২ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। বৃহস্পতিবার অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসলে তাদের সঙ্গে শিক্ষকরা অসদাচরণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিভাবকরা জানান, আলাউদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার বিল্ডিং মেইনটেনেন্স ট্রেড থেকে তাদের সন্তানরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। গত ১ ডিসেম্বর এসএসসির ফল প্রকাশের পর তারা ট্রেডের মোট ৪২ জন শিক্ষার্থীর সকলের অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। প্রথমে তারা বিষয়টি বুঝে উঠতে না পারলেও পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার অন্য দুটি ট্রেডের রেজাল্ট ভালো শুধু একটি ট্রেডের সব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনেকেই কান্নাকাটি করতে থাকেন এবং কেন এমন হয়েছে জানতে চাইলে বিল্ডিং ট্রেডের শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ও রুমানা পারভীন তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।

আজিমুল বাকী নামের এক অভিভাবক বলেন, শিক্ষিকা রুমানা পারভীনের কাছে শিক্ষার্থী উর্মিলা খাতুন ও হিরা খাতুন কান্নাকাটি করতে থাকলে তিনি কটাক্ষ করে তাদের বলেন, তাহলে তোরা কি এখন আত্মহত্যা করবি? শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক তাদের বলেন, রেজাল্ট কেন আসেনি বিষয়টি জানাতে তিনি বাধ্য নয়।

অভিভাবকরা আরও জানান, শিক্ষকরা তাদের সন্তানদের প্রাকটিক্যাল (ব্যবহারিক) খাতা কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে না পাঠানোর কারণেই তাদের সন্তানরা অকৃতকার্য হয়েছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাদের নিকট থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত রেজাল্ট ঠিক করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ঠিক না হলে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তারা মামলা করবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে আলাউদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসাদ উদ্দিন জানান, তারা প্রাকটিক্যাল নাম্বার মেইল করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু যেকোনো জটিলতায় হয়তো তাদের কাছে পৌঁছেনি। তবে তারা প্রাকটিক্যালের হার্ড কপি জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু কী কারণে এমন হয়েছে সেটা বুঝতে পারছেন না। ইতোমধ্যে তিনি ভোকেশনালের শিক্ষক হারুন অর রশিদকে বোর্ডে পাঠিয়েছিলেন, সেখান থেকে জানানো হয়েছে আগামী রোববার মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্য দুটি ট্রেডের রেজাল্ট নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি শুধুমাত্র একটিতে কেন এমন হয়েছে এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরিচালক (পরীক্ষা) খাইরুল বাশার মোবাইল ফোনে জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। রোববার বিষয়টি নিয়ে মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষার্থী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ