মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বেলারুশ হয়ে লিথুনিয়া ঢুকতে চাওয়া ৯৮ জন ইরাকিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অভিবাসী সংক্রান্ত বিশেষায়িত পোর্টাল ইনফোমাইগ্রেন্টসের এক প্রতিবদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়ুস থেকে অভিবাসীদের বহনকারী ফ্লাইট রোববার ইরাকের বাগদাদ ও এরবিলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেলারুশ হয়ে দেশটিতে ঢুকে পড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের এভাবে ফেরত পাঠানোর প্রথম ঘটনা এটা।
লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগনে বিলোটাইটে এটাকে তাই ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইরাক সরকারকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রাব্রিয়েলুস ল্যান্ডবার্গিস।
এই অভিবাসীরা গত কয়েক মাসে বেলারুশ থেকে লিথুয়ানিয়ায় প্রবেশ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বেলারুশ সীমান্তে জড়ো হন মধ্যপ্রাচ্যের কয়েক হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিযোগ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সরকার তাদের ইইউ দেশগুলোর সীমান্তে ঠেলে দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে এই সংকট তৈরি করেছেন। এরইমধ্যে সেখানকার অনেক অভিবাসী পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ায় প্রবেশ করেছেন। কেউ কেউ জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
এদিকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে লিথুয়ানিয়া শুরু থেকে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে। বেলারুশের সঙ্গে কয়েকশো কিলোমিটার সীমান্তে দেয়াল তোলারও উদ্যোগ নেয় তারা। তারপরও গত বছরের আগস্ট থেকে অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী বেলারুশ থেকে লিথুয়ানিয়ায় প্রবেশ করেছেন। প্রাথমিকভাবে তাদের পাঁচটি ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়। বর্তমানে এই ক্যাম্পগুলোতে তিন হাজার ১৬৬ জন রয়েছেন। বেলারুশ হয়ে আসা মোট চার হাজার ২০০ জন দেশটিতে আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছেন।
এরইমধ্যে ৫৩৭ জনকে বিভিন্ন দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮২ জন স্বেচ্ছায় দেশটি ছেড়েছেন আর ৫৫ জনকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
অনিয়মিতভাবে আসা এ অভিবাসীদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চান তাদের এককালীন এক হাজার ইউরো আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে লিথুয়ানিয়া সরকার। এই সুযোগ ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্ওেয়া হবে।
লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, একজন শরণার্থীর জন্য বছরে ১১ হাজার ইউরো খরচ হয় সরকারের। সেক্ষেত্রে এক হাজার ইউরো দিয়ে তাদের প্রত্যাবাসন করানোই লাভজনক। পাশাপাশি প্রয়োজন হলে প্রত্যাবাসনে আগ্রহীদের জন্য চার্টার ফ্লাইটেরও ব্যবস্থা করার কথা জানানো হয়েছে। ঠিক এমন ব্যবস্থাতেই রোববার ৯৮ জনকে ইরাকে পাঠালো ভিলনিয়ুস। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।