মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এ যেন ঠিক কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে সুইৎজারল্যান্ড থেকে তাকে প্রত্যর্পণ করে এনেছিল আমেরিকা। ওই নামী রুশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেশ কয়েকটি কর্পোরেট সংস্থার আয় সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ তথ্য বিক্রি করে কোটি কোটি ডলার ঘরে তুলেছেন তিনি। তবে তদন্ত গভীরে যেতেই দেখা গেল, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির হাত ধরে ওয়াশিংটনের অন্দরের তথ্যও পাচার হচ্ছিল ক্রেমলিনে!
ভ্লাদিসলাভ কেউশিন নামে ওই ব্যবসায়ী যে দেশের স্পর্শকাতর তথ্য ক্রেমলিনের হাতে তুলে দিয়েছেন তা আমেরিকান তদন্তকারীদের কাছে আগেই স্পষ্ট হয়েছিল। তবে বড়দিনের ঠিক আগে তারা প্রথম তা প্রকাশ্যে আনেন। জানান, রুশ প্রশাসনের উচ্চ স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল ভ্লাদিসলাভের। আদানপ্রদানও হত তাদের সঙ্গেই। এমনকি মাত্র ১৮ মাস আগেই তাঁকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সে দিক থেকে দেখতে গেলে, এর আগে চরবৃত্তিতে অভিযুক্ত এমন কেউ আমেরিকার হাতে ধরা পড়েনি যে বা যারা ভ্লাডিসলাভের সমকক্ষ। তাই ভ্লাদিসলাভ এখন আমেরিকার কাছে তুরুপের তাস বলে মনে করছে গোয়েন্দা মহল। যদি তিনি তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন, তা হলে অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসতে পারে। ২০১৬ সালের আমেরিকান নির্বাচনে কারচুপি সংক্রান্ত দাবির ক্ষেত্রেও নাকি মিলতে পারে কোনও বিশেষ দিশা।
রুশ গোয়েন্দাদের কাছেও তথ্য রয়েছে যে, ওই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সার্ভার হ্যাক করার বিষয়ে রাশিয়ার ক্যাম্পেন সম্পর্কিত তথ্যও নাকি রয়েছে ভ্লাডিসলাভের হাতে। যা থেকে পরিষ্কার হয়ে যেতে বাধ্য যে, ওই হ্যাকিং চালিয়েছিল রুশ বাহিনীর ‘জিআরইউ’ গোয়েন্দারা। আমেরিকান সাইবার সিকিয়োরিটি সংস্থাগুলির কাছে যারা ‘ফ্যান্সি বেয়ার’ নামেই পরিচিত। ২০১৬-র নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের দাবি জোরালো হলেও, আদালতের সামনে তা প্রমাণ করার জন্য এত দিন কোনও তথ্য ছিল না আমেরিকার হাতে। এ বার ভ্লাদিসলাভ সেই মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
তবে কী করে তাকে হাতে পেল আমেরিকা? ব্যক্তিগত জেট বিমানে চেপে মস্কো থেকে পালায় ভ্লাদিসলাভ। ধরা পড়ে সুইৎজ়ারল্যান্ডে। তাকে ফেরত পেতে কম চেষ্টা চালায়নি রাশিয়াও। তবে প্রত্যর্পণ মামলায় জয় হয় আমেরিকারই। এই ঘটনার বছর দুয়েক আগেই নাকি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন আমেরিকা এবং ব্রিটেনের গোয়েন্দারা।
ভ্লাদিসলাভের আইনজীবীদের দাবি, নির্বাচনে কারচুপি তো দূরের কথা কর্পোরেটগুলির তথ্য পাচারের বিষয়েও কিছুই জানেন না তিনি। সূত্র: রয়টার্স, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।