যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
ঘুম নিয়ে অনেকেই ঝামেলায় পড়েন। অনেক ঘুমের জন্য নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন, যা স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর। তবে কিছু খাবার দ্রুত ঘুম আসার সহায়ক। আসুন জেনে নেই যেসব খাবার খেলে দ্রুত ঘুম আসবে।
কলা: কলায় আছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। পটাশিয়াম পায়ের পেশিগুলোকে শিথিল ও শান্ত করবে আর ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ু ও মাংসপেশিতে শিথিল ভাব আনবে। এছাড়া কলা হজম ভালো করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে।
মধু: মধু কিছুটা ইনসুলিন বাড়ায় এবং মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যান সহজে যেতে সাহায্য করে। দেহঘড়ির হরমোন হিসেবে পরিচিত সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে ট্রিপটোফ্যান, যা আমাদের ঘুম ও জেগে ওঠার চক্র ব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী। ঘুমের আগে তাই এক চামচ মধু খেলে কিংবা হারবাল চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে আরও প্রশান্তির ঘুম আসবে।
লেটুস: লেটুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটুক্যারিয়াম, যা ঘুমে সাহায্য করে। রাতে শোওয়ার আগে কয়েকটি লেটুসপাতা গরম জলে ফুটিয়ে খেলে ঘুম ভালো হবে। লেটুস সালাদও রাখতে পারেন রাতের খাবারে।
আখরোট: আখরোট ট্রিপটোফ্যানের ভালো উৎস। এতে ঘুম বাড়ানোর অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে, যা সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। রাতে এক-দুটি আখরোট খেতে পারেন।
কাঠবাদাম: অর্থমলিকুলার মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে যখন ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি থাকে, তখন ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম ও ট্রিপ্টোফান। এই দুটি উপাদানই স্নায়ু ও মাংসপেশিকে শান্ত করে দেয়।
ডিম: ডিমে আছে ভিটামিন ডি, যা ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। মস্তিষ্কে যে অংশের নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে ডিমের ভিটামিন ডি সেখানে কাজ করে।
দুধ: দুধে ক্যালসিয়াম থাকায় সেটি ক্যালসিয়াম মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যান তৈরিতে সাহায্য করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।