রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঢাকার ধামরাইয়ে সোমভাগ ও ফুকুটিয়া এলাকায় বংশী নদীর ওপর একটি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। পৌনে দুই বছরের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও সেতুটির কোন পিলারই দৃশ্যমান হয়নি। সেতু নির্মাণের ধীরগতির কারণে এলাকার মানুষ নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
স্বাধীনতার পর থেকেই সোমভাগ ইউনিয়নসহ আশপাশের প্রায় ৩০টিরও বেশি গ্রামের মানুষের দাবি ছিল এ সেতুর। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হলেও নানা তালবাহানা তাও আজ প্রায় বন্ধ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়ন ও পার্শবর্তী মির্জাপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত এই নদীর ওপর দিয়ে। অনেক আগ থেকেই বর্ষা মৌসুমে একমাত্রভরসা ছিল খেয়া নৌকা আর নদীর পানি কমে গেলে ভরসা হতো বাঁশের সাঁকো। সারা বছরই ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো ও বর্ষায় খেয়া নৌকায় পাড় হতে হয় এলাকার স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রণি পেশার মানুষ। বিশেষ করে সবজি চাষিদের।
এই নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও অবশেষে ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ওই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে যায় অদৃশ্য কারনে। নদীর দু’পাড়ে দু’টি গার্ডার উঠিয়েই ঠিকাদারের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে টেন্ডার হচ্ছে হবে কিংবা কাজ শুরু হয়েছে এমন আশ্বাস দিয়েই চলছে উপজেলা প্রকৌশলী।
সরেজমিনে দেখা যায়, জিডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় বংশী নদীর ওপর ২শ’ মিটার টেনলেজ ৯৮.১০ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ গত ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। যা ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে কাজটি সমাপ্ত হবে। আর মেসার্স সুরমা এন্ড খোশেদা নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায় ব্রিজটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৭শ’ টাকা।
আশুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল হালিম বলেন, সোমভাগ ইউনিয়নসহ আশপাশের প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের পথ এই নদীর উপর দিয়ে। তাদেরকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুধু কি তাই পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষি পণ্য ঢাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে কেনাবেচা করতে পারছে না। তিনি আরো বলেন এখন যে অবস্থা সেতুর কাজ আদৌ হবে কি না বা মৃত্যুর আগে দেখতে পাবো কি তাও ভাবভার বিষয়।
ফুকুটিয়া এলাকার সাইফুল, মিনহাজসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গ্রামের মানুষ চরম কষ্টের মধ্য দিয়ে নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ও বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তা ছাড়া যাতায়াতের জন্য প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে যেতে হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক বলেন, সেতুর ডিজাইন জটিলতার কারণে ব্রিজের কাজ সাময়িক বন্ধ ছিল। বাস্তবে ব্রিজটি একটু নিচু ছিল পরে নতুন করে ডিজাইনের সমস্যা শেষ করে নতুন টেন্ডার দিয়ে কাজ চালু করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।