পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ সড়ক জোনে ৬১টি ছোট-বড় সেতু নির্মাণ করা হবে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) এ উপলক্ষ্যে পরামর্শক নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) এর পক্ষে প্রধান প্রকোশলী ইবনে আলম হাসান এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট কোম্পানি লি. জাপানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মি. তমোয়ুকি ফুকোসিমা নিজ নিজ স্বাক্ষর করেন। প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে ২৬৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
তেজগাঁওস্থ সড়ক ভবনে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। সেতুগুলো নির্মাণে জাপান সরকার প্রকল্প সহায়তা দিবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
পাশাপাশি এসময় কক্সবাজার জেলার চকোরিয়ার একতাবাজার হতে মহেশখালীর মাতারবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪৪ কিমি. দীর্ঘ সড়ক চারলেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে পরামর্শক নিয়োগের চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। মাতারবাড়ি কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সংযোগ সড়ক হিসেবে এ চারলেন সড়কটি নির্মিত হবে। প্রায় ৬শত দুই কোটি টাকা ব্যয়ে চারলেন প্রকল্পে জাপানী সহায়তা থাকছে প্রায় ৫শত পাঁচ কোটি টাকা।
এ প্রকল্পের চুক্তিপত্রে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকোশলী ইবনে আলম হাসান এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এসএমইসি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লি. অস্ট্রেলিয়া-এর কান্ট্রি ম্যানেজার মো. সামিউল হোসেন নিজনিজ স্বাক্ষর করেন।
চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীগণসহ ঢাকাস্থ জাইকা অফিস ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির আওতায় ‘মাতারবাড়ী কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (সংযোগ সড়ক)’ ও ‘ওয়ের্স্টান বাংলাদেশ ব্রীজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (ডব্লিউবিবিআইপি)’ প্রকল্পের মাধ্যমে এসব কাজ সম্পন্ন হবে। ৬১টি সেতুর মধ্যে গোপালগঞ্জ জোনে-০৭টি, রাজশাহী জোনে-১৬টি, রংপুর জোনে-১৯টি, খুলনা জোনে-০৯ টি, বরিশাল জোনে-০৯ টি ও ঢাকা জোনে-০১ টি সেতু নির্মান করা হবে। সেতু সমূহের মোট দৈর্ঘ হবে ৪ হাজার ৭১৫ মিটার। ২০২০ সালের মধ্যে এ ৬১টি সেতু নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের
অন্যদিকে ‘মাতারবাড়ী কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎউৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণপ্রকল্প (সওজ অংশ)’ এর আওতায় কক্সবাজার জেলার চকোরিয়ার একতাবাজার হতে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পর্যন্ত সড়ক নির্মান করা হবে। এর দৈর্ঘ হবে ৪৩ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার। এ প্রকল্পের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি মূল্য হচ্ছে ৪৪ দশমিক ৫১ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।