Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিল্লিতে একদিনেই শনাক্ত বেড়েছে ৫০ শতাংশ

ফের বন্ধ হলো স্কুল-কলেজ, সিনেমা হল-জিম

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:১৭ এএম | আপডেট : ১০:৪৮ এএম, ২ জানুয়ারি, ২০২২

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এই সংখ্যা গত বছরের মে মাসের পরে সর্বোচ্চ। শনিবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭১৬ জন।
করোনা সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্তে ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে ইতোমধ্যেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। স্কুল-কলেজ, সিনেমা হল-জিম বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি সরকার। অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরার বার্তা দিয়েছেন। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন শনিবার বলেছেন, জাতীয় রাজধানীতে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দরকার।
এছাড়াও মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ১৭০ জন নতুন সংক্রমিত হয়েছেন। এ সংখ্যা গতদিনের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। মহারাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ জনে। করোনায় এদিন মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪১ হাজার ৫৩৩ জনে।
একুশের শেষে এসে আবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ছয়টি নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছে পুনেতে। মুম্বাই ও পুনেতে সর্বাধিক সংখ্যক কোভিড সংক্রমণ দেখা গেছে এবারও। শেষপর্যন্ত তা রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানান উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার।
শুধুমাত্র মুম্বাইয়ে ৫ হাজার ৬৩১ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন। তা প্রায় গতদিনের তুলনায় ২ হাজার বেশি। শহরের মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৮৫ হাজার ১১০ হন। মুম্বাইয়ে ডিসেম্বরে ২২ হাজার ২২৯ হন শনাক্ত করা হয়েছিলেন, আর নভেম্বরে ৬ হাজার ৯৭১ জন। অর্থাৎ নভেম্বরের থেকে ডিসেম্বরে সংক্রমণ তিনগুণ বেশি।
এদিকে শনিবার ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৭৭৫ জন শনাক্ত ও ৪০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লিতে শনিবার করোনা সংক্রমণের হার গত মে মাসের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
শনিবারের বৃদ্ধি গত বছরের মের পর সর্বোচ্চ। ২১ মে ৪.৬৭ শতাংশ ছিল সংক্রমণের হার। ৩ হাজার ৯ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন সেদিন। ২৫২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শনিবার সংক্রমণের হার ছিল তারপর সর্বোচ্চ ৩.৬৪ শতাংশ। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭১৬ জন। শুক্রবার নববর্ষের প্রাক্কালে এক হাজার ৭৯৬ জন আক্রান্ত হন। ১.৭৩ শতাংশ ছিল সংক্রমণের হার। বৃহস্পতিবার ২.৪৪ শতাংশ ছিল সংক্রমণের হার। ওইদিন এক হাজার ৩১৩ জনের সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছিল।
নতুন এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার, সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স ছাড়াও জিম, স্পা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস এবং মেট্রো চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। অটো, ই রিক্সা তে দু' জন যাত্রী উঠতে পারবেন। হোটেল রেস্তোরাঁগুলোকেও পঞ্চাশ শতাংশ আসন নিয়ে খুলে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পানশালার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানতে হবে। সকাল আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত হোটেল, রেস্তোরাঁ খুলে রাখা যাবে। শপিং মলগুলো এক দিন অন্তর খোলা যাবে।
সব ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম বন্ধ থাকছে রাজধানীতে। বিয়ের অনুষ্ঠানের ভিড় এড়াতে বিয়ে বাড়ি ভাড়া দেয়ার জন্য ম্যারেজ হলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
দিল্লি সরকারের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে রাত্রকালীন কারফিউ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অবশ্য দাবি করেছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও অক্সিজেন বা ভেন্টিলেটরের চাহিদা বাড়েনি দিল্লিতে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা আগের তুলনায় দশগুণ প্রস্তুত।’ সূত্র : নিউজ ১৮



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ