মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চলতি বছর যুক্তরাজ্যের লক্ষাধিক পরিবারের জীবনযাপন ব্যয় বাড়বে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে একটি থিংক ট্যাংক। বিদ্যুতের উচ্চমূল্য, মজুরির স্থবিরতা ও করের হার বাড়ার ফলে প্রতিটি পরিবারের বার্ষিক ব্যয় ১ হাজার ২০০ পাউন্ড বাড়বে। রেজল্যুশন ফাউন্ডেশনের মতে, এপ্রিলে জাতীয় বীমা ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এতে প্রভাব ফেলেছে। তবে পরিবারগুলোকে সহযোগিতার জন্য ৪২০ কোটি পাউন্ডের তহবিল বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। খবর দ্য গার্ডিয়ান। রেজল্যুশন ফাউন্ডেশনের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে লক্ষাধিক পরিবার জীবনযাপন ব্যয় নিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। জাতীয় বীমায় ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি প্রতিটি পরিবারের বার্ষিক গড় ব্যয় ৬০০ পাউন্ড বাড়াবে। পাশাপাশি জ্বালানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অতিরিক্ত আরো ৫০০ পাউন্ড খরচ বাড়বে। এপ্রিল থেকে এ খরচ কার্যকর হবে। জ্বালানি খাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার কারণে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে আরো ১০০ পাউন্ড যুক্ত হবে। ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের অনেক গ্রাহক অন্য প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণ শুরু করলেও আগের তুলনায় আরো ব্যয়বহুল বিল দিতে হবে। গত কয়েক মাসে পাইকারি গ্যাসের মূল্য অভাবনীয় পর্যায়ে বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি থার্মের মূল্য বেড়ে ৪৫০ পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর ফলে আগামী বছর গ্যাস বিল ২ হাজার পাউন্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেশটির বাণিজ্যিক সচিব কোয়াসি কোয়ার্টেং যুক্তরাজ্যের জ্বালানি কোম্পানি এবং শিল্পের নিয়ন্ত্রক অফগেমের প্রধানদের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী গ্যাসের উচ্চমূল্যের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করতে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা সরকারকে অবিলম্বে বিদ্যুৎ বিল থেকে কর অপসারণের আহবান জানান। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নেয়া অভো এনার্জির চিফ এক্সিকিউটিভ স্টিফেন ফিটজপ্যাট্রিক সরকারকে কয়েক বছর ধরে পরিচালিত ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত সামাজিক নীতি অপসারণের আহবান জানান। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যানুযায়ী গত নভেম্বর থেকে ১২ মাস শেষে যুক্তরাজ্যে জীবনযাপন ব্যয় ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। এটি গত ১০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এক বিবৃতিতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানায়, আগামী বসন্তে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ বাড়বে। অন্যদিকে রেজল্যুশন ফাউন্ডেশন সতর্কবার্তায় জানায়, অক্টোবরে প্রকৃত মজুরির হার সমতল থাকলেও গত মাসে হঠাৎ করেই পতনের মুখে রয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের আগে এ হারে প্রবৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী টরস্টেন বেল জানান, কভিড-১৯ মহামারীর সময় যুক্তরাজ্যের কর্মসংস্থান বাজারে স্থিতিস্থাপকতার লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। পাশাপাশি ৩০ সেপ্টেম্বর দেশটির সরকার পরিচালিত লম্বা ছুটি গ্রহণ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকারত্বের হার করোনা-পূর্ববর্তী ৪ দশমিক ২ শতাংশে চলে আসে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এপ্রিলে জাতীয় পর্যায়ে জীবনযাপনের জন্য নির্ধারিত মজুরি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়বে। ফলে সমাজে যারা সবচেয়ে কম উপার্জন করে থাকে তারা উচ্চমূল্যের প্রভাব থেকে কিছুটা রক্ষা পাবে বলেও জানান তিনি। টরস্টেন বেল জানান, লরিচালকসহ বিভিন্ন খাতে মজুরি বাড়লেও সামগ্রিকভাবে সবার জন্য জীবনযাপন ব্যয় বাড়বে। আগামী শরতে এ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন, সেটি নির্ধারণে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাককে চাপের মুখে পড়তে হবে বলেও জানান তিনি। গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।