মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ওমিক্রন ও ডেল্টা স্ট্রেনের জোড়া আক্রমণে জর্জরিত বিশ্ব। এরই মাঝে আতঙ্কের পারদ আরো খানিকটা বাড়িয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচওও। গত বুধবার সংস্থার তরফ থেকে জানানো হল, খুব শিগগিরই বিশ্বজুড়ে করোনার সুনামি আসতে চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দ্রুতগতিতে করোনার ডেল্টা ও ওমিক্রন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়ছে যা অবশ্যই আতঙ্কের। এর জেরেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও দাপট বাড়ছে বলে দাবি করেছে ডব্লিউএইচও’র। এমন পরিস্থিতি বজায় থাকলে কোভিড মৃত্যুও বাড়বে, দাবি করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিন ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গ্যাব্রেয়েসাস বলেন, ওমিক্রনের ট্রান্সমিশন খুব দ্রুত হচ্ছে। এ কারণেই আমার ভয়টা বেশি। একসময় ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছিল, তার চেয়েও দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেন। এতে করোনার সুনামি আসতে পারে’। তার সংযোজন, ‘এ পরিস্থিতি বজায় থাকলে আবারও বিশ্বের প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের উপর চাপ বাড়বে’।
ডব্লিউএইচও প্রধানের আশঙ্কা, করোনাভাইরাসে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে বিশ্বের সমস্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে। যাঁরা ভ্যাকসিন নেননি, তাঁদের সতর্ক করেছেন ডব্লিউএইচও চিফ। তার কথায়, ‘যাঁরা এখনও পর্যন্ত করোনা টিকা নেননি, তারা যদি ওমিক্রন বা ডেল্টায় আক্রান্ত হন, তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই বেশি’।
ডব্লিউএইচও -এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ শতাংশ বেড়েছে। সেক্ষেত্রে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট-এর জেরেই ফের বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনা- এমনটাই সাফ জানিয়ে দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
ডব্লিউএইচও-এর তরফে জানানো হয়েছে, ‘যেসব তথ্য সামনে আসছে তা থেকে স্পষ্ট যে ডেল্টার থেকে তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। ওমিক্রনের ক্ষেত্রে মাত্র দুই তিনদিনেই সংক্রমণ দ্বিগুণ হচ্ছে। ব্রিটেন এবং আমেরিকাতে এ ভ্যারিয়্যান্ট ছড়িয়ে পড়েছে’। তাছাড়া এও জানানো হয়েছে, যেসব দেশে ডেল্টা দাপট দেখাচ্ছিল, সেসব দেশেই ওমিক্রন-এর বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও জোড়া হামলা তো রয়েছেই।
উৎসবের মরশুমে বিশ্ব করোনা স্ফীতিকে চাক্ষুষ করেছে। এই সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের দিক থেকে নয়া রেকর্ড তৈরি হয়েছে বিশ্বে। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স কাঁপছে ওমিক্রন জ্বরে। ভারতের কাছেও করোনার দাপট বড্ড চ্যালেঞ্জিং। সোমবারের হিসেব অনুযায়ী, সারা বিশ্বে ১.৪৪ মিলিয়ন মানুষ করোনা আক্রান্ত। গত বছর ডিসেম্বর মাসে তুরস্কের কোভিড তথ্য আপডেট করার পর যে সংখ্যা সামনে এসেছিল, বর্তমানের সংক্রমণ তাও পেরিয়ে গিয়েছে। সূত্র : বিবিসি নিউজ, ইউরো নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।