বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সম্পতি কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সারাদেশে যখন তোলপাড় চলছে, তখন আসলো আরেক ধর্ষণের খবর। এবার কক্সবাজারে স্কুলছাত্রীকে হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে নিন্দার ঝড়। অবতিবিলম্বে অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, কক্সবাজারের কলাতলীতে মামস্ নামে একটি আবাসিক হোটেলে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। ছাড়া পেয়ে ওই শিক্ষার্থী ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলাও করেছেন। কিন্তু মামলা নথিভুক্ত হওয়ার এক সপ্তাহ পরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে আসিফুর রহমান ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘অনতিবিলম্বে স্কুলছাত্রীসহ সকল ধর্ষণের বিচার করা হোক। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হোক। আর ধষর্ণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার দাবি জানাচ্ছি।’
শহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘এই ধরনের ঘটনা তো হবেই! কারণ এখানে কারো কোনো দায়বদ্ধতা নেই! কেউ কোনো অন্যায় করলেও তার কোন শাস্তি হয় না!’
নোরা আলম সিদ্দিকী প্রশ্ন, ‘এবার কক্সবাজারের এস পি সাহেব কি বলবেন?’
উদ্বেগ প্রকাশ করে এস এম নেওয়াজ লিখেছেন, ‘পরিকল্পিতভাবে কক্সবাজার পর্যটন শিল্পকে ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে .....’
সাইদুর রহমান লিখেছেন, ‘তদন্ত হোক, শেষ পযর্ন্ত না জেনে মন্তব্য করা উচিত নয়। পরে আবার দেখা যাবে, ছেলেটি মেয়ের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘুরতে এসেছে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে নীরা হক লিখেছেন, ‘একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, কিন্তু কোনটার কোন সুষ্ঠ বিচার হচ্ছে না। এজন্য অপরাধীরা এসব কাজ করতে একটুও চিন্তা করে না। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকলে এ ব্যাপারে সোচ্চার না হলে ধর্ষণ বন্ধ হবে না।’
অনুরোধ জানিয়ে রেজাউল করিম লিখেছেন, ‘আল্লাহর দোহাই, ধর্ষণ কে না বলুন।’
সুমি আক্তার মনে করেন, ‘কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্র বয়কট করা উচিত। নিজেদের জান মাল ইজ্জত রক্ষার স্বার্থে সকলে একযোগে কক্সবাজার বয়কট করুন!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।