মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাতমাস আগে নদিয়া থেকে ১৫ বছরের কিশোরীকে পাচার করা হয় বাংলাদেশে। তাকে মঙ্গলবার ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
গত জুনে ওই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, স্থানীয় স্টিল কারখানায় চারজন বাংলাদেশি যুবক অবৈধভাবে কাজ করতে এসেছিল। তার মধ্যে মিলন হোসেন নামে একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই কিশোরী। বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয় মিলন।
পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ তখন বাংলাদেশের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে রংপুরে একটি হোমে রাখা হয়। সেখানে তার উপর যৌন অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর আদালত কেন্দ্রীয় সরকার ও দূতাবাসকে হস্তক্ষেপ করতে বলে। এরপর মেয়েটিকে হোমে ভালোভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
কিন্তু আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তাকে এখনো ফেরানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট গত শুক্রবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে যে, তারা যেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে মেয়েটিকে নদিয়ায় নিয়ে আসে। কোর্টের অনুরোধ মেনে মঙ্গলবার গেদে চেক পোস্ট দিয়ে মেয়েটিকে নদিয়ায় নিয়ে আসা হতে পারে। হাইকোর্টের নির্দেশ, বিএসএফের আইজি এবং কৃষ্ণনগরের পুলিশ কর্তৃপক্ষ যেন মেয়েটিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়ে তার পরিবারের মানুষের কাছে পৌঁছে দেন।
আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত জানিয়েছেন, বিচারপতি রাজশেখর মান্থার উদ্যোগে মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। এই আইনজীবীর দাবি, তিনি মামলা লড়ার জন্য একটি টাকাও নেননি। সুস্মিতার সঙ্গে মামলাটি যৌথভাবে লড়েছেন আইনজীবী নীলাদ্রি সাহা। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পুলিশ মিলনের তিনজন সহকারীকে ধরেছে। তারা জেরার মুখে স্বীকার করেছে, মিলন ওই কিশোরীকে বিয়ের মিথ্যা লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে গিয়েছিল।
নীলাদ্রি জানিয়েছেন, বিচারপতির নির্দেশ হলো, মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর সম্ভব হলে বেলা এগারোটা থেকে তিনটের মধ্যে মেয়েটিকে ভারতে ফেরাতে হবে। পুলিশ ও সূত্রকে উদ্ধৃত করে টেলিগ্রাফ জানাচ্ছে, পাচার হওয়া কিশোরীর মা গৃহকর্মী। সূত্র: আনন্দবাজার, দ্য টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।