মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে গত বৃহস্পতিবার দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৯১ হাজার ৬০৮। মাত্র ৪৮ ঘণ্টা পরই গত শনিবার সেই সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড গড়েছে। আর এই সংক্রমণ করোনাভাইরাস শুরুর পর গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ইউরোপে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তের প্রথম দু’টি দেশ হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। সংক্রমণের গতি দেখে কয়েক দিন আগেই ফ্রান্সের সরকার ঘোষণা করেছিল খুব শিগগিরই দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ লাখের ঘর ছাড়িয়ে যাবে। দুই দিনের মাথায় সেই আশঙ্কাকে সত্যি করেই দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড গড়ল ফ্রান্স। ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের দেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ চার হাজার ৬১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে টানা তিন দিন দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড করল ফ্রান্স। করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে ফ্রান্স, ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের দেশগুলোতে। কোভিডের এই নতুন রূপের প্রভাবে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে চিন্তায় ফরাসি প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই সেখানে পূর্ণবয়স্কদের বুস্টার টিকার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সরকার থেকে ‘ভ্যাকসিন পাস’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পাস তাদেরই দেওয়া হচ্ছে যাদের দু’টি টিকাই নেওয়া হয়ে গেছে। রেস্তোরাঁ, ক্যাফে বা বিদেশ ভ্রমণের জন্য এই পাস থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দু’টি টিকা নেওয়া না থাকলে বহু জায়গাতেই প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহর আলাদা আলাদ ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মতো নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ করা শুরু করেছে। স্যাভয়েতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যান্য শহরও নিজেদের মতো করে নানা পদক্ষেপ করছে।
ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণের ছবিটা আমূল বদলে যায়। গত ৪ ডিসেম্বর এক লাফে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ফ্রান্সে মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার মানুষের।
ইংল্যান্ডে ওমিক্রন সংক্রমণের ছবিটাও প্রায় একই রকম। সে দেশে এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার। এই নিয়ে পর পর দু’দিন দৈনিক সংক্রমণ এক লাখের ঘর অতিক্রম করেছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অতিমারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইংল্যান্ড। করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪৭ হাজার ৭২০ জনের। সূত্র : টিভিএস নিউজ, ইন্ডিয়া টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।