Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাদ্যদ্রব্যের অগ্নিমূল্য রোধ করতে হবে

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

চলতি আমন ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ হয়েছে। এবার ফলনও ভালো হয়েছে। অবশ্য স¤প্রতি সংঘটিত ঘূর্ণিঝড়-জাওয়াদের আঘাতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিপুল পরিমাণ উঠতি ধান ডুবে গেছে। রবি শস্যেরও কিছু ক্ষতি হয়েছে। যা’হোক, আমন ধান কাটার ভরা মওসুমেও চালের মূল্য হু-হু করে বাড়ছে। বর্তমানে কেজি প্রতি ৬-৭ টাকা বেড়ে মোটা চাল প্রায় ৬০ টাকা ও চিকন চাল প্রায় ৭০ টাকা হয়েছে ঢাকায়। একই সাথে সবজীর ভরা মওসুমেও মূল্য আকাশচুম্বী হয়েছে। সর্বোপরি চিনি, ডাল, পিয়াজ, ভোজ্য তেল, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও ফলের মূল্য সর্বাধিক হয়ে রয়েছে অনেকদিন থেকেই। ফলে খাদ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তার অবধি নেই! বাধ্য হয়ে তারা খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। খাদ্যদ্রব্যের অগ্নিমূল্যে মানুষ চরম ক্ষুব্ধ বটে। তাতে সরকারের উন্নতি ¤øান হয়ে যাচ্ছে। খাদ্য সংকট নিয়ে আরও খবর হচ্ছে, জিএফএসআই-এর বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা সূচক-২০২১ অনুযায়ী, বিশ্বের ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৪তম। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে নিচে। ঢাবির পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের সমীক্ষা রিপোর্ট মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত স্বাস্থ্যকর খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে পায় না দেশের ৪৩% মানুষ। জাতিসংঘের এফএও’র এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতি প্রতিবেদন-২০২০ মতে, বাংলাদেশে ৫.২০ কোটি মানুষ মাঝারি ও তীব্র খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১২ লাখ। এই প্রতিবেদনে চলতি বছরের চিত্র নেই। সেটা থাকলে নিশ্চিত এই সংখ্যা বেড়ে যেত অনেক, যার বড় প্রমাণ টিসিবি’র ট্রাক সেলে দীর্ঘ লাইন। সেখানে নি¤œ-বিত্ত ও মধ্যবিত্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে নারী, পুরুষ ও শিশু নির্বিশেষে। তারা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে। তাতে কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না।

এ দেশের চিরাচরিত নিয়ম হচ্ছে, যে কোন ফসল ওঠার সময় তার মূল্য অনেক কমে যায়। ক্ষেত্র বিশেষে বিক্রিও হয় না। তাই ফসল ফেলে রাখা হয় মাঠেই। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এবার তার বিপরীত হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ব্যাপক। এ জন্য খুচরা দোকানদার ও আড়ৎদাররা একে অপরকে দায়ী করছে। সাধারণ মানুষের অভিমত, খাদ্যপণ্যের অগ্নিমূল্য হওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা, চাঁদাবাজি, জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর কারণে পরিবহন ব্যয় ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি এবং চাহিদা ও সরবরাহের হিসাবের ব্যাপক গড়মিল। এছাড়া, বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বাজারে সরকারের তদারকির অভাবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত মূল্য আদায় করছে। তাও একই পণ্যের মূল্য একেক দোকানে একেক রকমের।অর্থাৎ যে যা পারছে তাই-ই আদায় করচ্ছে। তা দেখারও যেন কেউ নেই! অথচ সরকার চাল, চিনি, তেল, ডালসহ কিছু খাদ্য পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। গত নভেম্বর মাসে সরকার ধান-চাল, আটা-ময়দাসহ দেশে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের কোনটিতে কত মুনাফা করা যাবে তার একটি যৌক্তিক মূল্য ধরে বিধিমালা জারি করেছে। সে মতে, উৎপাদিত পণ্যের ওপর তিন স্তর ভিত্তিক মুনাফা করা যাবে। তন্মধ্যে উৎপাদক পর্যায়ে পণ্য ভেদে ৩০-৪০%, পাইকারি পর্যায়ে ১৫-২০% আর খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৫-৩০% মুনাফা করা যাবে।এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীদের মুনাফা বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু যা নির্ধারণ করা হয়েছে, তাও অনুসরণ করছে না ব্যবসায়ীরা। এর কোনো প্রতিকার নেই। অথচ বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারি দপ্তর ও লোকবল আছে। কিন্তু তা কার্যকর নয়। বরং ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ রয়েছে।তাই খাদ্যদ্রব্যের মূল্য পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে! এছাড়া, নকল, ভেজাল ও রাসায়নিকযুক্ত খাদ্যদ্রব্যেও বাজার সয়লাব। এতে মানুষের শরীরের চরম ক্ষতি হচ্ছে! উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে!

এ অবস্থায় গত ইরি-বোরোর ন্যায় চলতি আমনেও সরকারি সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর সরকারীভাবে ধান, চাল ও গমের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ এবং ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সে মতে, কেজি প্রতি আমন ধান ২৭ টাকা, চাল ৪০ টাকা ও গম ২৮ টাকা। উপরন্তু এখন ৩ লাখ মেট্রিক টন আমন ধান, ৫ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও আগামী ১ থেকে ২২ এপ্রিল ১.৫ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাজারে বর্তমান মূল্য উক্ত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। স্বল্প দিনের মধ্যে মূল্য আরও বেশি হবে বলে অনুমেয়। ফলে আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান সফল হবে বলে মনে হয় না। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বর্তমানে সরকারিভাবে খাদ্য সংরক্ষণের ক্ষমতা ২২ লাখ টন। গত নভেম্বর পর্যন্ত খাদ্য মজুত ছিল ১৫.১৩ লাখ টন। ইতোমধ্যে মজুত অনেক কমে গেছে। এফএও-এর মতে, যেকোনো রাষ্ট্রের নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তায় সরকারিভাবে কমপক্ষে ৬০ দিনের খাদ্য মজুত রাখা প্রয়োজন। বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর একদিনের খাদ্য চাহিদা প্রায় ৪৬ হাজার টন। সে হিসেবে ৬০ দিনের জন্য খাদ্য মজুদ রাখার কথা ২৭ লাখ টন। উপরন্তু উক্ত সংস্থার মতে, ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে হিসাবে ধরে বাংলাদেশের চালের বর্তমান বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৫.৩ মিলিয়ন টন। এমতাবস্থায় ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে যে কোনো সময় দুর্যোগ জনিত খাদ্য সংকট সৃষ্টি হতে পারে। ব্যবসায়ীরাও এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারে। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী চলছে চরম খাদ্য সংকট। ওমিক্রনের কারণে এ সংকট আরও বাড়বে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অতি সত্বর সরকারিভাবে কমপক্ষে ২০ লাখ মে.টন চাল আমদানি করা দরকার। ইরি-বোরো ধানের চাষের মওসুম শুরু হয়েছে, যার অন্যতম প্রধান উপকরণ হচ্ছে সার।কিন্তু এর প্রয়োজনীয় মজুদ থাকা সত্তে¡ও এবং গত ৩০ নভেম্বর কৃষিমন্ত্রী সব সার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়ার পরও কৃত্রিম সংকট সৃস্টি করে অনেক বেশি মূল্যে সার বিক্রি করছে ব্যবসায়িরা, যা আরও ব্যাপকতর হতে পারে। সেটা হলে ইরি-বোরো উৎপাদনের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই সারের মূল্য বৃদ্ধি রোধ করার জন্য দ্রæত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

যে কোন বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য তার হালনাগাদ সঠিক তথ্য অপরিহার্য। কিন্তু দেশের সরকারি সব তথ্য ভুল বা মনগড়া ও অনেক পুরনো। সিপিডি’র বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশে তথ্যের অন্ধত্ব বিরাজ করছে। তাই দেশের সরকারি তথ্য দেশ-বিদেশের কেউ বিশ্বাস করে না। তবুও সেই তথ্য নিয়ে অনেকেই বাগাড়ম্বর করেন। ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। যার জ্বলন্ত প্রমাণ খাদ্যে উৎপাদনে স্বয়ংভরতা সংক্রান্ত তথ্য। খাদ্য বলতে প্রধানত চাল ও গমকেই বুঝায়। সেই গমের চাহিদার প্রায় ৮০% আমদানি করতে হয় প্রতি বছর। যার পরিমাণ প্রায় ৭০ লাখ মে.টন। এছাড়া, কয়েক বছর যাবত বছরে গড়ে ২০-২৫ লাখ মে.টন করে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। চলতি বছরও ৩০ লাখ মে.টন চাল আমদানি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গত ২ অক্টোবর এক দৈনিকে প্রকাশ, ২০০৯-১০ মৌসুম থেকে ২০২০-২১ মৌসুম পর্যন্ত দেশে চাল ৯৯.১৮ লাখ টন ও গম ৫.০৬ লাখ টন আমদানি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সা¤প্রতিক তথ্য মতে, চাল আমদানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। তবুও কৃষিমন্ত্রী গত ১৫ অক্টোবর বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর দেশে সব ফসলেরই উৎপাদন বেড়েছে মোটা চালের উৎপাদন হয়েছে ৩.৮৬ কোটি টন, গম ১২ লাখ টন, ভুট্টা প্রায় ৫৭ লাখ টন, আলু ১.০৬ কোটি টন, শাক-সবজী ১.৯৭ কোটি টন, তেল ফসল ১২ লাখ টন, ডাল ফসল ৯ লাখ টন ও পেঁয়াজ ৩৩ লাখ টন। এই তথ্য যদি সত্য হয়, তাহলে তো জনপ্রতি গড়ে চাল খাওয়ার পরিমাণ প্রায় ৪০০ গ্রাম ধরে চাল উদ্বৃত্ত হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা না হয়ে বিপুল আমাদনি করতে হচ্ছে কেন? বাজারে অন্য খাদ্যপণ্যের বেশিরভাগ বিদেশি কেন? এসব প্রশ্নের কোন সদুত্তর না দিয়ে অনবরত ঢোল পেটানো হচ্ছে, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংভর হয়েছে। জাতীয় স্বার্থেই অসত্য না বলে সদা সত্য বলতে হবে। এটা ধর্মীয় বিধান। তাতে মর্যাদা বাড়ে।

খাদ্য দ্রব্যের ঘাটতি পূরণের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা তথা সব কৃষিজমিকে সেচ ও চাষের আওতায় আনতে হবে, যন্ত্র চালিত করতে হবে, প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে, আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ, সর্বশেষ আবিষ্কৃত হাইব্রিড চাষ করতে হবে ও প্রয়োজনীয় কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়তে হবে। তাহলেই উৎপাদন অনেক বেড়ে যাবে, অপচয় বন্ধ হবে ও উৎপাদন ব্যয় অর্ধেকের বেশি কমে যাবে। তাতে করে সার্বিকভাবে পণ্য মূল্য অনেক হ্রাস পাবে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জিত হবে। দ্বিতীয়ত: বিষয় ভিত্তিক সঠিক তথ্য সার্বক্ষণিক হাল নাগাদ করার জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে উপযোগী করা অতীব জরুরি। কারণ, মূল সমস্যা তথ্যের গড়মিলের মধ্যেই নিহিত। আর সেটা যতদিন না হয়, ততদিন দেশের জনসংখ্যা ২০ কোটি ধরে নিয়ে খাদ্য পণ্যের উৎপাদন ও আমদানির হিসাব করতে হবে। স্মরণীয় যে, পোল্ট্রি ফার্মেও অনেক খাদ্য ব্যবহার হচ্ছে। এটাও হিসাবের মধ্যে আনতে হবে। কিছুদিন আগে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কৃষিপণ্যের মূল্যের ২০% পায় উৎপাদকরা আর ৮০% পায় মধ্যস্বত্বভোগীরা তথা ব্যবসায়ীরা। এই মধ্যস্বত্বভোগীর স্তর কমিয়ে সরাসরি উৎপাদক ও ভোক্তার মধ্যে করতে হবে। সর্বোপরি নিয়মিত বাজার তদারকি ও মজুদ বিরোধী অভিযান চালাতে হবে। চাঁদাবাজীও নির্মূল করতে হবে। এছাড়া, প্রধান খাদ্য দ্রব্যের উৎপাদকের পার্শ্ববর্তী পাইকারি বাজারের, শহরের পাইকারি বাজারের ও আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য প্রতিদিন প্রকাশ করতে হবে।তাহলে মানুষ পণ্য মূল্য জানতে পারবে।তাতে করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফা করতে পারবে না। খাদ্য সামগ্রীর ভ্যাটযোগ্য সব দোকানে ভ্যাট মেশিন স্থাপন করলেও দোকানদাররা শাস্তির ভয়ে অধিক মূল্য গ্রহণ করার সাহস পাবে না। পণ্যের নকল, ভেজাল ও কেমিক্যাল মিশ্রণদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এসব করা হলেই মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পাবে। মূল্যও অনেক কমে যাবে। কিছু দিন আগে সরকার নির্দেশ দিয়েছে, চালের বস্তায় কি ধানের চাল আছে তার উল্লেখ থাকতে হবে। হাইকোর্ট গত ২১ নভেম্বর চাল কেটে-ছেঁটে মিনিকেট বা নাজিরশাইল নামে বিক্রি করা অটো রাইস মিলের তালিকা চেয়েছেন। কাটা-ছাঁটা চালে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে কি না এবং পুষ্টিমানের ক্ষতি হয় কি না, সে বিষয়ে গবেষণা করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। পাশাপাশি এসব কাটা-ছাঁটা চাল বিক্রি বন্ধে নির্দেশনা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এই দু’টি কাজ বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি। কারণ, এটা হলেই চাল ব্যবসায়ীদের বাটপারি বন্ধ হয়ে চালের মূল্য অনেক কমে যাবে। কারণ, মোটা চাল মেশিনে চিকন করেই নাজিরশাইল ও মিনিকেট নামে অধিক মূল্যে বিক্রি করা হয়। অথচ এই নামে কোনো ধান নেই বলে কৃষিবিদরা বহুবার বলেছেন।স¤প্রতি খাদ্যমন্ত্রীও এই কথা বলেছেন। অপরদিকে, গরিব মানুষের কথা বিবেচনা করে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি আরও জোরদার, গরিব মানুষ ও শ্রমিকের জন্য রেশন পুনরায় চালু করা দরকার। পাশাপাশি টিসিবির ট্রাক সেলের কার্যক্রমও অব্যাহত রাখতে হবে এবং তা বাড়াতে হবে দেশব্যাপী।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন