পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ দিন পর আবারও কক্সবাজার সৈকতের কাছে সাগরে ডলফিনের দৌড়ঝাঁপ উপভোগ করেছেন স্থানীয়রা। গত দু’দিন ভোর হওয়ার পর ডলফিনের ছোটাছুটির দৃশ্য ধারণ করেন সৈকতের জেটস্কি চালক সোনা মিয়া। তিনি কয়েক মিনিট ডলফিনের সঙ্গে খেলায় মেতেছিলেন। পর্যটকরা এমন দৃশ্য দেখায় বেজায় খুশি।
স্থানীয়দের মতে, ভোরে সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা কম। এই সময়ই লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্টে সমুদ্রের একটু দূরে দেখা মিলছে ডলফিন পালের। কখনো দুই একটা করে আবার কখনও দল বেঁধে পানিতে সাঁতার কাটা ও লাফিয়ে ডুব দিয়ে খেলা করে দলবদ্ধ ডলফিন।
লাইফ গার্ড কর্মীরা বলছেন, শীত মৌসুমে সমুদ্রের মাছ চলে আসে উপকূলের কিনারায়। ডলফিনও মাছ শিকারে সমুদ্র পাড়ের কাছাকাছি চলে আসে। স্থানীয় জেলেদের ভাষ্যমতে, গত বছর লকডাউনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ডলফিনকে খেলা করতে দেখা গিয়েছিল। এরপর ডলফিনের আর দেখা পাওয়া যায়নি।
গত দুইদিন ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আবারো ডলফিনের বিচরণ চোখে পড়ে। জেলেদের মতে, গভীর সাগরে মাছ ধরতে গেলে মাঝেমধ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে ডলফিনের দেখা মেলে। বিশেষ করে শীত মৌসুমের শেষের দিকে ডলফিনের দল সাগরে ঘুরে বেড়ায়। প্রায় তিন বছর আগেও একবার এসব ডলফিন সাগর উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছিল। তবে এমনটি অহরহ ঘটে না।
পেঁচারদ্বীপের জেলে রুহুল আমিন জানান, সাগরে ডলফিন নতুন কিছু নয়। তবে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসায় স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত বছরও হিমছড়ি এলাকায় ডলফিনকে সাগর উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে দেখেছি। সাগরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানিতে ডলফিনের দল সাঁতার কেটে বেড়ায়।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপুর মতে স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি বহু জাতের হয়। তবে সমুদ্র উপকূলে মূলত শুশুক জাতের ডলফিন দেখা যায়। ডলফিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানিতে বিচরণ করে। স্বচ্ছ পানিতে এসব স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো খেলায় মেতে উঠে।
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, কক্সবাজারের সোনাদিয়া মহেশখালী বঙ্গোপসাগর চ্যানেলে দুটি ডলফিন পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। একেকটি পরিবারে ১০/১২টির বেশি ডলফিন থাকে। সাগরে এরা দল বেঁধে চলাফেরা করে। বর্তমানে চ্যানেলগুলোতে প্রতিনিয়ত ডলফিন দেখা যায়। ডলফিন সবসময় নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। ভোরে সৈকত একেবারে নিশ্চুপ থাকে বলেই লাবনী পয়েন্টে চলে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।