Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তারুণ্যের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ কতদূর

ড. মো. কামরুজ্জামান | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে জাতি হিসেবে আমরা যেমন উন্নত হয়েছি, তেমনি হয়েছি গর্বিত। স্বাধীনতার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মর্যাদা। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসসহ অন্যান্য জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনের অহংকার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ^ দরবারে আমাদের অবস্থানকে অনেক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। বাংলা ভাষার গৌরবের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে এটি এখন বিশ^ব্যাপী স্বীকৃত। স্বাধীনতা ও বিজয় আমাদেরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। আমাদের স্বাধীনতার জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে আমরা জাতীয় নেতা পেয়েছি। আমরা জাতীয় বিভিন্ন দিবস পেয়েছি। পেয়েছি লাল-সবুজ খচিত জাতীয় পতাকা। পেয়েছি জাতীয় সংগীত ও একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূখন্ড। বাঙালি জাতি পেয়েছে বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ ও পূর্ণ স্বাধীনতা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, এ স্বাধীনতার মাধ্যমে জাতির সকল আশা পূর্ণ হয়নি। সবচেয়ে না পাওয়ার বিষয়টি হলো, ‘জাতীয় চরিত্র ও নৈতিকতা’। অর্থাৎ জাতি হিসেবে আমরা জাতীয় চরিত্র পাইনি। জাতীয় চরিত্র ও নৈতিকতা পাওয়া থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। একথা সত্য যে, গত ৫০ বছরে জাতীয় অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। কিন্তু জাতীয় চরিত্র না থাকায় উন্নয়নের কাঙ্খিত ফসল ঘরে ওঠেনি। উন্নয়নের যত ফসল সব খেয়ে ফেলেছে দুর্নীতি। বঙ্গবন্ধু বিষয়টি অনুধাবন করেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী কোনো এক ভাষণে তিনি বিষয়টি নিয়ে বড়ই আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন। তার প্রদত্ত ভাষণটি আজও ভাসমান অবস্থায় ইউটিউবে দেখতে পাওয়া যায়। ভাষণে দেখা যাচ্ছে, তিনি দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলছেন: ‘এখনও ঘুষখোর, দূর্নীতিবাজ, চোরাকারবারী, মোনাফখোরী বাংলার দুখী মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পাকিস্তানিরা সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে। কাগজ ছাড়া আমার কাছে কিছুই রেখে যায় নাই। বিদেশ থেকে আমাকে ভিক্ষা করে আনতে হয়। আর এই চোরের দল আমার দুঃখী মানুষের সর্বনাশ আর লুটতরাজ করে খায়। যাও আমি ভিক্ষা করে আনি তা চাটার গোষ্ঠি চাইটে খেয়ে ফেলে দেয়, আমার গরিব পায় না। পাকিস্তানিরা সব নিয়ে গেছে। কিন্তু এই চোরটুকু থুয়ে গেছে আমার কাছে। এই চোর নিয়ে গেলে আমি বাঁচতাম।’ (বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত এ ভাষণটি ৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে ইউটিউব থেকে সংগৃহীত।) বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত এ ভাষণই আমাদের জাতীয় চারিত্রিক সংকটের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। জাতীয় চরিত্রের এ সংকট সেই থেকে শুরু হয়ে বর্তমানও চলমান রয়েেেছ। দেশের জাতীয় সকল প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়ের বয়স ৫০ বছরেও কোনোভাবেই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যায় নি। তারুণ্যের কাছে বিষয়টি ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপে’র অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বছর বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। বার্লিনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৬ সালে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩য়, ২০০৭ সালে ছিল ৭ম, ২০০৮ সালে ১০ম, ২০০৯ সালে ১৩তম, ২০১০ সালে ১২তম, ২০১১ সালে ১৩তম, ২০১৪ সালে ১৪তম, ২০১৫ সালে ১৩তম, ২০১৬ সালে ১৫তম, ২০১৭ সালে ১৭তম, ২০১৮ সালে ১৩তম, ২০১৯ সালে ১৪তম এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২তম। (টিআই বার্ষিক দুর্নীতির ধারণাসূচক-২০২০ থেকে প্রাপ্ত)
দেশের তরুণ-তরুণীরা মনে করে, দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি। আর দেশনায়ক রাজনীতিক, আমলা ও প্রশাসনিক বিভিন্ন সেক্টরের ক্যাডারগণই এর সাথে জড়িত। তাদের মতে, রিকশাওয়ালা, ফেরিওয়ালা, মুটে-মজুররা এর সাথে মোটেই জড়িত নয়। দেশের নীতিনির্ধারক রাঘববোয়ালরাই যে এর সাথে জড়িত ইতিমধ্যে জিকে শামীম, ইসমাইল হোসেন সম্রাট, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ অনেকে তার প্রমাণ দিয়েছেন। রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংক থেকে টাকা উধাও হওয়া রাষ্ট্রীয় চরিত্রের দৈন্যের বহিঃপ্রকাশ। সর্বশেষ দেশের ক্ষমতাধর তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কর্মকান্ড জাতীয় কুৎসিত চরিত্রের কিয়াদংশ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। এতেই বুঝা যায়, দুর্নীতির সর্বগ্রাসী কালো থাবাটি কেমনভাবে গোটা দেশকে গ্রাস করে ফেলেছে। তারুণ্যের মতে, বিজয় মানেই হলো বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস। শিশুদের মতো ভয়হীন পথ চলা; যেখানে সেখানে দুরন্তপনা করে বেড়ানো। সকল বয়সি ও শ্রেণি-পেশার নারীদের নিরাপদ পথ চলা। বিজয় অর্থই হলো স্বস্তি, শান্তি, নিরাপত্তা আর বুক ভরে নিঃশ^াস গ্রহণ। বিজয়ের প্রত্যাশা হলো দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতিমুক্ত বাংলাদেশ। বিজয় অর্থ মাদকতামুক্ত তারুণ্য আর বেকারত্বমুক্ত বাংলাদেশ। কর্মমুখী ও কোয়ালিটি এডুকেশন আর শিক্ষা বান্ধব সরকারই হলো তারুণ্যের আকাংখ্যা। তারুণ্যের আকাংখ্যা হলো, শিক্ষার্থীর সকল সুবিধা নিশ্চিত থাকা; লেখাপড়া শেষে একটি চাকরি পাওয়া। আর এ চাকরি পেতে ঘুষের কাছে হার না মানা। স্বাধীন দেশের অর্থই হলো তরুণ মেধাবী প্রজন্মকে মূল্যায়ন করা; দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে কর্মমুখী করে গড়ে তোলা ইত্যাদি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একজন তরুণকে ৪ বছর অনার্স করতে হয়। ৪ বছর অনার্স করে নতুনভাবে আবার তাকে চাকরির জন্য লেখা-পড়া করতে হয়। মানে দাঁড়ায়, অনার্সে পড়া চারটি বছর তার কোনো কাজে লাগলো না। অর্থাৎ জীবন থেকে ৪টি বছর এমনি এমনি ঝরে গেল! অথচ পৃথিবীর কোনো দেশেই উদ্দেশ্যবিহীন অনার্স পড়ার কোনো নজির নেই। আর অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনার্সের পরে ১ বছর বা দেড় বছর ধরে মাস্টার্স করে থাকেন। অর্থাৎ বিশ^বিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিতেই তার জীবন থেকে ৫-৬ বছর চলে যায়। তাকে যদি নতুন করে আবার চাকরির জন্য লেখা-পড়া করা লাগে; তাহলে বিগত ৫-৬ বছরের লেখা-পড়া তার কী দরকার ছিল? বিশ^বিদ্যালয়ের গোটা সময়ই তার বৃথা গেল নয় কি? লেখাপড়া তার বাস্তব জীবনে কোনো কাজে এলো না। জাতীয় জীবন থেকে অর্থ ও সময় দুটিই অপচয় হলো। তারুণ্য থেকে এতগুলো বছর কালের গহ্বরে অকারণে হারিয়ে গেল! এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তারুণ্যের কাছে এটা মোটেই প্রত্যাশিত নয়। তরুণরা এমন লেখাপড়া চায় না। তারা বাস্তবসম্মত-কর্মমুখী অ্যাপ্লাইড লেখা-পড়া চায়।

তরুণ বলতে সাধারণত ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের বোঝায়। বাংলাদেশের মোট ভোটার ১১ কোটির উপরে। এর মধ্যে তরুণ-তরুণীদের ভোটার সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনশক্তি তারুণ্যে ভরপুর। ‘আমরা কলরেডি’র এক তথ্যানুযায়ী, এ বিশাল তারুণ্যের ৮০ শতাংশই রাজনীতিবিমুখ। তরুণদের কাছে কোনো রাজনৈতিক আইডল নেই। দেশের রাজনীতি মানেই এখন লুণ্ঠন, চাঁদাবাজি, মারামারি, মাদকতা ইত্যাদি। বিড়ি, সিগারেট, গাঁজা, মদ ইত্যাদি না খেলে নেতা হওয়া যায় না। নেতা হতে হলে মারামারি বাঁধাতে হয়। সন্ত্রাস সৃষ্টি করে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হয়। এসব কারণে তারুণ্যের কাছে রাজনীতি এখন অপছন্দ। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়া দেশে এখন কোনো চাকরি নেই। রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি ঘুষ দেয়া-নেয়া এখন ওপেন সিক্রেট। গ্রামে কেউ সরকারি চাকরি পেলে ঘুষের বিনিময়ে চাকরি হয়েছে বলেই সবাই মনে করে। হতাশাগ্রস্ত হয়ে অনেকে তাই বলে, ‘লেখাপড়া করে কী হবে? আইএ-বিএ পাশ করে কী লাভ? আমাদের টাকা নাই, লোক নাই, মামা-খালু নাই, ধজ-গজ নাই তাই আমাদের লেখাপড়ার দরকার নেই।’ এ সমস্ত পরিবারের অর্ধ ও অশিক্ষিত বেকাররা বিদেশে যাবার প্রস্তুতি নিতে থাকে। কিন্তু সেখানেও স্বস্তি নেই। বিদেশ যেতে গেলেও দালালদের স্মরণাপন্ন হতে হয়; তাদের ঘুষ দিতে হয়। অনেকে আবার অসাধু দালালদের খপ্পরে পড়ে ভিটে-মাটি পর্যন্ত হারিয়ে নি:স্ব হয়ে যায়। অর্থনৈতিক ফোরামের এক জরিপ অনুযায়ী, উন্নত জীবন-যাপন ও উন্নত পেশার জন্য দেশের তরুণ সমাজের ৮২ শতাংশ বিদেশে পাড়ি দিতে চায়। গত পাঁচ বছরে প্রায় দেড় হাজার তরুণ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছে। বিগত ৩০ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮ লাখ তরুণী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। মাসিক ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জনের চুক্তিতে তারা দেশ থেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। কিন্তু বিদেশ গিয়েও তারা ভালো নাই। বিদেশে গিয়ে তারা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তারা লাঞ্ছিত অপমানিত এবং ধর্ষিত হচ্ছে। যেটা দেশের জন্য লজ্জা এবং অপমানের। বিগত তিন বছরে (২০১৯, ২০২০, ২০২১) বাংলাদেশ থেকে বিদেশে শ্রম বাজারে চাহিদা ছিল ৩০ লাখ জনশক্তি। কিন্তু পাঠানো গেছে মাত্র ১১ লাখ। বাকি ১৯ লাখ শ্রমিক হতাশায় জর্জরিত। বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমবাজার নতুন বছরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দেশে প্রায় এক কোটি শিক্ষিত বেকার রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষমদের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। এদের অধিকাংশই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। এ বিশাল জনশক্তির মধ্য হতে খুব সংখ্যক তরুণ-তরুণী ছোট-বড় চাকরি পেয়ে থাকে। বাকি সকল তরুণ-তরুণী বেকারের খাতায় নাম লেখাচ্ছে। তারা নানাবিধ হতাশায় জর্জরিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে বেকারত্বের টেনশনে আত্মহত্যা করেছে। এসমস্ত তরুণ-তরুণীর বেকারত্ব ঘোচাতে দেশীয় বাজার সৃষ্টি করা এখন সময়ের অনিবার্য দাবী। বেকারত্বের ভারে তারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে বসেছেন। তাদের বৈবাহিক জীবনে মারাত্নক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বেকার তরুণের সাথে পিতারা তাদের কন্যাকে বিয়ে দেয় না। অন্যদিকে তরুণীদের কাছেও বেকার তরুণরা অপছন্দ। ফলে তরুণ-তরুণীদের বিবাহের বয়সসীমা পার হলেও তারা বিয়ে বসতে পারছে না।

দেশে পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের শতকরা ৬.৮ ভাগ শিশু শ্রমের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ শিশু আছে যারা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িত। ঝুঁকিপূর্ণ কাজের মধ্যে রয়েছে বাসের হেলপার, কেমিক্যাল কারখানার কর্মী, লেদ মেশিনে কাজ করা শ্রমিক, মাছ ধরা জেলে, শুটকি শ্রমিক ইত্যাদি। ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত থাকার কারণে এসব শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছে। এ আলোচনা দ্বারা এটাই বুঝা গেল যে, তারুণ্যের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ অনেক দূরে। বাঙালিজাতি স্বাধীন হলেও এর সুফল সবাই ভোগ করতে পারছে না। মুষ্টিমেয় অনৈতিক ক্ষমতাধরেরা এর সুফল ভোগ করছে, যা স্বাধীনতার চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী কাজ। সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক সুবিচার ছিল স্বাধীনতার মূল চেতনা। এ চেতনা থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছে আমাদের দেশ। তারুণ্য কখনও এটা প্রত্যাশা করে না। তাই তারুণ্যের প্রত্যাশা হলো, দেশে স্বাধীনতার মৌলিক চেতনা ফিরে আসুক! সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার আর মানবিক মর্যাদায় সিক্ত হোক আমাদের স্বাধীনতা! প্রত্যেক ক্ষমতাসীনদের মাঝে জাগ্রত হোক মানবিক চেতনা ও মূল্যবোধ! স্বাধীন দেশ হয়ে উঠুক নিরাপদ আশ্রয়স্থল! আর এর প্রতিটি নাগরিক হয়ে উঠুক মানবিক মানুষ।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]



 

Show all comments
  • abdul quaium Sheikh ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:১৬ পিএম says : 0
    অনেক সুন্দর একটি লেখা! তারুণ্যের জয় হোক!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন