নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এই করোনাকালেও বিদেশ বিভুঁইয়ে (সংযুক্ত আরব আমিরাত) হওয়া এবছরের আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কার ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৩ কোটি টাকা! ভারতের বাজার, দর্শক-স্পন্সরদের আগ্রহ, টিভি স্বত্ত¡ থেকে আয়, সব কিছু মিলিয়ে আইপিএলের সঙ্গে অন্যান্য লিগের তুলনা চলে না। তবে বাকিরা? এবারের সিপিএলেও চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ছিল প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা, পিএসএলে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা এবং বিগ ব্যাশে আছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। অথচ বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন মাত্র ১ কোটি আর রানার্সআপ ৫০ লাখ! ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট প্রাইজমানির দিক থেকে লিগে তাদের পরই আছে কেবল লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ। গতকাল শেষ হওয়া শ্রীলঙ্কার এই লিগে চ্যাম্পিয়নকে দেয়া হয়েছে এক লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা মাত্র ৮৫ লক্ষ টাকা।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি থেকে শুরু করে ক্রিকেটার-কোচদের পারিশ্রমিক, পরিচলন ব্যয় এবং অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে এবারের বিপিএলের একেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির খরচ হবে ৫ কোটি টাকার আশেপাশে। কিংবা আরও বেশি। অথচ টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি এত কম কেন? এমন প্রশ্নই ছিল বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের কাছে। এটির কারণ ব্যাখ্যা করে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এই সদস্য জানালেন, ভবিষ্যতে তারা পুরস্কারের অঙ্ক বাড়াবেন। গতকাল সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বললেন, ‘আপনারা জানেন, এটা একটা ‘ওয়ান অফ’ ইভেন্ট হচ্ছে। সেভাবেই এটা পরিকল্পনা করা। অনেক কিছু আছে, যেটা আমাদের আগের যে পরিকল্পনা ছিল এবং বিপিএলের নির্ধারিত মডিউল ছিল... (সেভাবেই হয়েছে)। লং টার্ম একটা আমাদের আগামীতে পরিকল্পনা আছে যে শুরু করব। তখন হয়তো এই বিষয়গুলো আরও বড় আকারে দেখা যেতে পারে।’
প্রাইজমানিই যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একমাত্র আয়, তা অবশ্যই নয়। বড় একটা অংশ আসার কথা স্পন্সরশিপ থেকে। বিশ্বের বেশির ভাগ লিগে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই এন্ডোর্সমেন্ট থেকে মোটা অঙ্কের আয় হয়। তবে বিপিএলে পেশাদার কোনো কাঠামো নেই, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নেই ধারাবাহিকতা। স্পন্সরদের আকৃষ্ট করাও তাই কঠিন। অন্য বেশির ভাগ লিগের আয়ের লভ্যাংশ পায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বিপিএলে তা কখনোই হয়নি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য তাই তেমন কোনো প্রণোদনাই নেই। প্রাইজমানি মোটা অঙ্কের থাকলে তবু ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কিছুটা আকর্ষণ থাকত। কিন্তু প্রাইজমানির অঙ্কও অন্যান্য লিগের তুলনায় নিতান্তই কম। আগামী বছর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে লম্বা সময়ের জন্য চুক্তির পরিকল্পনা করছে বিসিবি। প্রধান নির্বাহীর ইঙ্গিত সেদিকেই। যদিও এরকম পরিকল্পনা আগেও নানা সময়ে করা হয়েছে, বাস্তবায়ন হয়নি কখনোই।
এবারের বিপিএল শুরু আগামী ২১ জানুয়ারি, প্লেয়ার্স ড্রাফট আগামী সোমবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।