Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:২১ পিএম

স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক পর্যটককে গণধর্ষণ করেছে তিন যুবক। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে তুলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পর্যটক। খবর পেয়ে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেলে অভিযান চালিয়ে ঐ রাতেই তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব-১৫।

ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ফুটেজ দেখে ধর্ষণের সাথে জড়িত দুইজনকে শনাক্ত করেছে র‌্যাব। তারা হলেন, কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম ও আব্দুল জব্বার জয়া। ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে, কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়।

'এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন। এরপর তাকে নেয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।

ওই নারী আরও জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খোলেন তিনি। তারপর ফোন দেন ৯৯৯-এ। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়রি করার পরামর্শ দেয়।

তারপর পাশের একজনের সহযোগিতায় কল দেন র‌্যাবকে। তারা এসে তাকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে। তিনি আরও বলেন, বারবার হাতে-পায়ে ধরলেও তারা আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয়নি। বেড়াতে এসেছিলাম বেতন পেয়েছি সেই খুশিতে। এখন স্ত্রীর অবস্থা ভালো নয়, তাকে নিয়ে চিন্তায় আছি। কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। ছায়া তদন্ত শুরু করেছি, এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুইজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। কক্সবাজার ব্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।



 

Show all comments
  • শেখ ফারুক হোসেন ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:২৭ পিএম says : 0
    একটা পর্যটন এলাকার অবস্হা যদি এই হয় তাহলে দেশের অবস্হা কি একবার চিন্তা করে দেখুন ।
    Total Reply(0) Reply
  • শেখ ফারুক হোসেন ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:২৭ পিএম says : 0
    একটা পর্যটন এলাকার অবস্হা যদি এই হয় তাহলে দেশের অবস্হা কি একবার চিন্তা করে দেখুন ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৩৯ পিএম says : 0
    দেশে যদি প্রকৃত বিচার আইন দেশের এবং জনগণের মানসম্মান থাকে,এই বিচার হবে,কিন্তু এই রকম হইতেছে ,যদি ও বলে বিচার আছে কিন্তু বিচারের শেষ কিছু দেখা যায় না,কয়েক বসর শেষ হয়ে যায়,তাতে ভুক্তভোগী কেইছ আদালতে জড়িয়ে পড়ে,সব জায়গা সম্পদ এবং টাকা পয়সা হারিয়ে ফেলেন,কিন্তু বিচারের শেষ রায় দেখতে পায় না,আজ এইটি কালকে সেটি এই ভাবে ভুক্তভোগী আরো রাস্তার ভিখারি হতে হয়,এত এব এই দেশে কি করার আছে এবং কি করবে জনগণ,কে আছে যে এই গুলির একটি সুরা করবেন,না কি এই ভাবেই এই দেশ চলবে,দেশে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি যখন ছিল এই গুলি করার সাহস কারো ছিল না,যখন বাংলাদেশে কাচরা আবর্জনা দুর্গন্ধ দলীয় আমলাতান্ত্রিক চৌরাচার দলীয় সংসদীয় পদ্ধতি হয়েছে,সেই থেকেই এই অবস্থা,এটাতেই জনগণের বুঝতে হবে যে আসলেই,সংসদীয় পদ্ধতি একটি কাচরা আবর্জনা দুর্গন্ধ দলীয় আমলাতান্ত্রিক চৌরাচার দলীয় পদ্ধতি,সে বাতিল করে রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি করা জরুরি জরুরি।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:০২ পিএম says : 0
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার আইনে যদি ধর্ষনের বিচার করা হত তাহলে আর একটি ধর্ষনও থাকতো না। তখন আমার আপনার মা বোনকে নিয়ে আর দুঃশ্চিন্তা করতে হতো না। যিনি সৃষ্টি করেছেন নিঃসন্দেহে তার বিচারই শ্রেষ্ঠ।
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:৪৪ পিএম says : 0
    When enemy of Allah ruler rule the country then rulers supporter become billion trillion times worse than Ibless as such Iblees left our country in 1972. O'Muslim wake up and establish the Law of Allah if not you will be their target, they will rape your wife, sister, daughter.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ