বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রশাসন ক্যাডারে ৩০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পদে কর্মরত, বিপতœীক এবং উচ্চতা পাঁচ ফুট ৯ ইঞ্চি। বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত পাত্রী চেয়ে পত্রিকায় নিয়মিত দেওয়া হতো এমন বিজ্ঞাপন। অনেক বিধবা ও অবিবাহিত নারী বিজ্ঞাপন দেখে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে চূড়ান্ত করে বিয়ের কথাবার্তা। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করার আগে হঠাৎ জানানো হয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজের বদলির কথা। বদলি ঠেকানোর কথা বলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পাত্র শাহজাদা।
ঘুষ দিয়ে বদলি ঠেকাতে হবে, স্বজনদের কাছ থেকে লোন করতে হচ্ছে বলে জানায় পাত্রীকে। টাকা ম্যানেজ হচ্ছে না জানিয়ে অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি করে শাহজাদা। বিয়ের পাত্রী হবু বরের জন্য ঝুঁকি নেয়, পাশে দাঁড়ায় পাত্রী। তবে শাহজাদা প্রথমে টাকা নিতে চায় না, পরে পাত্রীর জোরাজুরিতে নেয়। টাকা নেওয়ার পর শাহজাদার আর খোঁজ পাওয়া যায় না। বিয়েতে রাজি একেকজন নারীর কাছ থেকে এভাবে পাঁচ থেকে পনেরো লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে বন্ধ করে দেয় সমস্ত যোগাযোগ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতের গ্রেফতার শাহজাদা মুসলমান ভুক্তভোগীদের কাছে নিজেকে জহিরুল হক, হিন্দু পাত্রীদের কাছে সরকার অসীম কুমার নামে পরিচয় দিতো। তার পড়ালেখা এসএসসি পর্যন্ত। মানুষের সঙ্গে প্রতারণাই তার কাজ। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করতে বানিয়েছিলো ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভিজিটিং কার্ড।
ভুক্তভোগী এক নারী জানান, প্রতারক শাহজাদা এমনভাবে তার পরিচয় দিয়েছে যে তারও বিশ্বাস হয়েছে। কথাবার্তার একপর্যায়ে তার বদলির বিষয়টি আসে।
তখন বদলি ঠেকানোর কথা বলে প্রথমে সাড়ে ৭ লাখ টাকা নেয়, পরে ওই রাতেই আবারও ফোন করে আরও ৬ লাখ টাকা চায়। তারপরই সন্দেহ শুরু, যাচাই করে দেখা যায় এই নামে কেউ সেখানে কাজ করে না। টাকাগুলো কোনও অ্যাকাউন্টে নয়, বরং সরাসরি শাহজাদার হাতে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানায়, শাহজাদা খুবই ধূর্তপ্রকৃতির। সে পরিকল্পনা করেই প্রতারণা করেছে। এজন্য সে বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত নারীদের টার্গেট করেছে। অপরদিকে, সরকারি চাকরির প্রতি কিছু মানুষের সীমাহীন লোভের কারণেই একের পর এক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করতে পেরেছে শাহজাদা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, বিসিএস ক্যাডারের নাম শুনলেই পাত্রী, তার পরিবার ও স্বজনরা অতি দ্রæত যোগাযোগ করে। সেই সুযোগটাই নিয়েছে শাহজাদা।
তিনি বলেন, বদলির কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করতো শাহজাদা। পাত্রীপক্ষ ভাবতো যতদ্রæত টাকা দিয়ে বদলি ঠেকানো যাবে, তত দ্রæত বিয়ে হবে। তাই তারাও টাকা দিতো। আর এই টাকা জুয়া খেলায় ব্যয় করে শাহজাদা। এ ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে বিজ্ঞাপন দেখে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করার পরামর্শ দেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।