Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চ্যালেঞ্জের মুখে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম

মো. ইউনুছ আলী | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

এখনো মানুষ করোনাকালীন ক্ষতির রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এই ক্ষতি অপূরণীয়। নতুন করে আবার ওমিক্রনের চোখ রাঙানি। এই অবস্থায় শুরু হচ্ছে ২০২২ সাল। নতুন ইংরেজি বছর। নতুন বছরে নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তো মানুষ? দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। যদিও বন্ধকালীন সময়ে বিকল্প পদ্ধতিতে লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে উঠার চেষ্টাও অব্যাহত ছিল। সংসদ টেলিভিশন এবং অনলাইনে পাঠদানের পাশাপাশি আ্যাসাইনমেন্ট ও ওয়ার্কশিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বইমুখী করার প্রয়াস লক্ষ্য করা গেছে। তবে তা প্রয়োজনের সিকিভাগও পূরণ করতে পারেনি বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সংসদ টেলিভিশনের পাঠদান অনুসরণ করবে, এমন মানুষের সংখ্যা এদেশে নিতান্তই অপ্রতুল। অনলাইনের ক্লাস অনেক শিক্ষকও বুঝেন না। জুম কিংবা গুগল মিট সম্পর্কে নতুন শিক্ষকরা মোটামুটি সাবলীল হলেও বয়স্কদের কাছে এখনো কঠিন বিষয়। এছাড়া নেটওয়ার্কের লুকোচুরি তো আছেই। এদিকে অতি দারিদ্র্য পরিবারে অ্যান্ড্রয়েড বা স্মার্টফোন তো দূরের কথা; স্বল্পমূল্যের সেটও নেই অনেকের। সুতরাং বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিদ্যালয় বন্ধকালীন সময়ের যাবতীয় প্রচেষ্টাই প্রয়োজনের অনেকটাই পূরণ করতে পারেনি। তাই, ২০২২ সাল হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এর মধ্যেই যদি আবার ওমিক্রনের তীব্রতা বাড়ে তাহলে কী পরিস্থিতি হবে সেটাই এখন ভাবনার বিষয়। আশা করি, সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার সহজ পথ অবলম্বন করে নিশ্চিন্ত না থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর ভাবনা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে।

জকিগঞ্জ, সিলেট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন