বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। গত রোববার দুদক প্রধান কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগ। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, এক কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তা নিজে ভোগ-দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদক অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, বিএনপির সাবেক এই সাংসদের অবৈধ সম্পদের খোঁজ শুরুর পর ২০২০ সালের ২ নভেম্বর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করে দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে সে বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুদকের কাছে নিজের সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন মো. গিয়াস উদ্দিন।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাবেক এই এমপির আয়কর নথিতে ২০১৭-২০১৮ করবর্ষ পর্যন্ত তার নামীয় কাসসাফ শপিং সেন্টার-০১ নির্মাণ ব্যয় প্রদর্শন করেন তিন কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা, ২০১৮-২০১৯ করবর্ষে ওই মার্কেট নির্মাণে বিনিয়োগ করেন ছয় লাখ টাকা, ২০১৯-২০২০ করবর্ষে ওই মার্কেট নির্মাণে বিনিয়োগ করেন দুই কোটি ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ৬৩২ টাকা এবং ২০২০-২০২১ করবর্ষে এই কাজে কোনো বিনিয়োগ প্রদর্শন করেননি। ২০২১-২০২২ করবর্ষে ওই মার্কেটের ৮০২ বর্গমিটার নির্মাণে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ সনের ১৯ এ ধারায় এক কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা ভবন নির্মাণে ব্যয় করেছেন মর্মে দেখা যায়। কিন্তু তিনি আয়ের উৎস দেখাতে পারেন।
দুদক বলছে, ১৯৮৪ সনের ১৯ এ ধারায় প্রদর্শিত ভবন নির্মাণে ব্যয় করা এক কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা নিজ ভোগ-দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।