পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের একটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার মুসলমানকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। বার্মিজ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর সাম্প্রতিক হামলার জের ধরে সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই নির্মম পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। মিয়ানমারের সেনারা গত রোববার মধ্যাঞ্চলীয় মান্দালাই প্রদেশের কি কান পিন গ্রামে প্রবেশ করে। এ সময় তারা সেখানকার সব মুসলিম অধিবাসীকে গ্রামটি ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। এ সময় জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া হতভাগ্য রোহিঙ্গাদের অন্য কিছু নিতে দেয়া হয়নি। বর্তমানে এসব মুসলমান পার্শ্ববর্তী বন ও ধানক্ষেতে লুকিয়ে দিনাতিপাত করছেন। নিজ ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়া একজন মুসলমান গত সোমবার জানান, গতকাল বিকেলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আমার পরিবারের সব সদস্যসহ প্রায় ২০০ মানুষ ধানক্ষেতে অবস্থান করছি। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। সেনারা গ্রামে ঢুকে আমাদের দ্রুত ঘরবাড়ি ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে বলে, কথা না শুনলে তারা আমাদের গুলি করবে। মিয়ানমার সরকারের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, সরকারের পক্ষে ওই এলাকার কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। কারণ এলাকাটি সেনা অভিযানের একটি রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের জুনে মিয়ানমারে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গায় নিহত হন কয়েকশ’ রোহিঙ্গা মুসলিম। সীমান্ত সংলগ্ন রাখাইন রাজ্যের দুটো গ্রামের ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা। অন্তত এক হাজার ৬০০ ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। দাঙ্গায় অন্তত ৩০ হাজার মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হন। উগ্র বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সহায়তায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাসাকা, পুলিশ ও লুন্টিন বাহিনী এই মুসলিমবিরোধী তা-ব চালায়। জাতিসংঘের মতে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নিগৃহীত সংখ্যালঘু হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা। আল জাজিরা, রয়টার্স, পার্স টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।