পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পশ্চিমতীরে দখলদার ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের বেশ কিছু গ্রামে হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। ধ্বংস করেছে গাড়ি। প্রহার করেছে কমপক্ষে দু’জন ফিলিস্তিনিকে। ফিলিস্তিনি এক অস্ত্রধারী ইসরাইলি এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার পরদিন শুক্রবার এই হামলা হয়। ফিলিস্তিনি ওই অস্ত্রধারী বৃহস্পতিবার দখলীকৃত পশ্চিমতীরে একটি গাড়ির কাছে গুলি করে হত্যা করে বসতি স্থাপনকারী ইয়েহুদা ডিমেন্টম্যানকে। এ ঘটনা আবারও ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী ও ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের সঙ্গে সহিংসতা উস্কে দিয়েছে। ওই গুলিতে ডিমেন্টম্যানের গাড়িতে থাকা আরো দু’যাত্রী আহত হয়েছে। বসতি স্থাপনকারীদের কর্মকাণ্ডে নজর রাখেন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের ঘাসান ডাঘলাস। তিনি বলেছেন, ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরের কাছে শুক্রবার প্রবেশ করে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তাদের প্রহারে আহত দু’জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনের কারিয়াউট গ্রামে বসতি স্থাপনকারীরা একটি ঘর ভাঙচুর করেছে। একজন অধিবাসী ওয়াকিল মিকবেলকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব ছবি শেয়ার করা হয়েছে তাতে দেখা যায় ওয়াকিল মিকবেলের মুখে থেঁতলে যাওয়া দাগ। এখানে ওখানে ফুলে আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অন্য ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী এবং ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বুরকা গ্রাম পরিষদের প্রধান জিহাদ সালাহ বলেছেন, বসতি স্থাপনকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রামে হামলা চালিয়েছে। তারা গ্রামের বিভিন্ন ব্যারাকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে। ফিলিস্তিনি সংবাদ মাধ্যম ওয়াফা বলেছে, বসতি স্থাপনকারীরা সেবাস্তিয়া শহর, উত্তর নাবলুচে হামলা চালিয়েছে। ওদিকে বৃহস্পতিবারের গুলি কে চালিয়েছে তাকে আটক করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ইসরাইলি নেতারা। আরও এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। ওয়াফা এজেন্সির মতে, বুরকা গ্রাম থেকে রাতভর ঘেরাও দিয়ে কমপক্ষে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরাইলিরা। এর আগে শুক্রবার ইসরাইলি সেনারা জানায়, ফিলিস্তিনি ওই অস্ত্রধারীর সন্ধান চলছে। তবে তারা বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানায়। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।