মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য বেশ কিছু শর্ত বা দাবি উপস্থাপন করেছে রাশিয়া। তার মধ্যে অন্যতম ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্তকরণ বন্ধ করতে হবে। উত্থাপিত দাবির মধ্যে এমন কিছু বিতর্কিত দাবি আছে, যা এরই মধ্যে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। দাবির মধ্যে রয়েছে ন্যাটোতে ইউক্রেনের প্রবেশ বন্ধ করাতে হবে। পূর্বাঞ্চলে ন্যাটোর সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন সীমিত রাখতে হবে। এর অর্থ হবে ১৯৯৭ সালে ন্যাটোর যে অবস্থান ছিল, সেই অবস্থানে ফিরে যাওয়া। একদিকে যখন রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি স্ট্রাইকিং দূরত্বে সমবেত হচ্ছে, তখন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আট দফা দাবি সম্বলিত খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। মস্কো বলেছেন, তাদের স্বার্থ উপেক্ষা করার অর্থ হতে পারে সামরিক পদক্ষেপ, যা হবে ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কটের মতো। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য পশ্চিমাদের প্রতি দাবি তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্রেমলিনের এসব প্রস্তাব আগ্রাসী। এসব দাবি পশ্চিমারা প্রত্যাখ্যান করতে পারে। কারণ, রাশিয়ার এসব প্রস্তাব হলো পূর্ব ইউরোপে প্রভাব বিস্তারের বলয়ে এক নতুন রাশিয়া গড়ে তোলা। এসব দাবি এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ১৯৯৭ সালের পরে যেসব দেশে সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন করেছে ন্যাটো তা প্রত্যাহার দাবি তোলা হয়েছে এতে। এসব দেশের মধ্যে আছে পূর্ব ইউরোপের দেশ, যেমন পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাতভিয়া ও বলকান দেশসমূহ। রাশিয়া ন্যাটোর আরো সম্প্রসারণ দাবি করেছে। রাশিয়ার এসব দাবিকে চরমভাবে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হবে। পোল্যান্ড ও বলটিক দেশগুলো সতর্ক করেছে যে, এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাবের নতুন এক বলয় গড়ে তুলতে চাইছে রাশিয়া। এর মধ্য দিয়ে মস্কো ওইসব দেশের সার্বভৌমত্বকে সীমাবদ্ধ করতে চাইছে। শুক্রবার রাশিয়ার এসব প্রস্তাবের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন, ক্রেমলিন জানে যে, তাদের এসব প্রস্তাবের অনেক অংশই অগ্রহণযোগ্য। ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিকে এরই মধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছেন ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক ইউক্রেন এবং ন্যাটোভুক্ত ৩০টি দেশ। এমনিতেই ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে বড় এক প্রতিবন্ধকতা আােছ। তা হলো ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। আরটি, গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।