Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাতিল কাপড় রিসাইক্লিং করলে কোটি টাকা মুনাফা!

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:১৩ পিএম

ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ বেশিদিন একই পোশাক পরতে পছন্দ করে না৷ অথচ জামা-কাপড় রিসাইকেল করতে পারলে পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি বিশাল মুনাফাও করা সম্ভব৷

নতুন টি শার্ট, নতুন প্যান্ট৷ আরও একটি টি-শার্ট৷ সেইসঙ্গে বিশেষ সেল থেকে আরও এক জোড়া স্পোর্টস শু কিনলে মন্দ কী! খুব সম্ভবত সেই সব নতুন পোশাক-পরিচ্ছদ জঞ্জালের স্তূপে স্থান পাবে৷ যেমনটা বছরে নয় কোটি ২০ লাখ কাপড়ের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে৷ মাত্র এক শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়৷ এটাই হলো ‘ফাস্ট ফ্যাশন’ ধারার প্রকৃত মূল্য৷ এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের লাউরা বালমোন্ড বলেন, “২০০০ থেতে ২০১৫ সালের মধ্যে কাপড় উৎপাদনের হার দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে৷ অন্যদিকে এক একটি কাপড়ের ব্যবহারের সময় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে৷”

জার্মানির পূর্বাঞ্চলে ভল্ফেন শহরে একটি সর্টিং সেন্টারে বিশাল পরিমাণ জামা-কাপড় জমা হয়৷ তবে সেখানে জামা-কাপড়কে নতুন কাঁচামাল হিসেবে গণ্য করা হয়৷ কর্মীরা প্রতিদিন ২০০ টন পর্যন্ত পুরানো জামাকাপড় অবস্থা, শ্রেণি ও উপাদান অনুযায়ী ভাগ করেন৷ ইউরোপে এটাই অন্যতম বড় কেন্দ্র৷ গোটা বিশ্ব থেকে দোকান-বাজার বা কন্টেনারে ফেলে দেয়া জামাকাপড় সেখানে আসে৷

সর্টিং প্রক্রিয়ার পর সেগুলি হয় সেকেন্ড হ্যান্ড দোকানে পাঠানো হয় অথবা রিসাইক্লিং কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়৷ এই প্রণালী কাজে লাগালে বড় মুনাফা হতে পারে৷ ফ্যাশন জগতে এমন চক্রাকার ব্যবস্থা চালু করতে পারলে ৫০,০০০ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব৷ এসওইএক্স কোম্পানির কর্ণধার পাউল ড্যোর্টেনবাখ বলেন, “আমাদের জামা-কাপড়ের মধ্যে মূল্যবান সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে৷ সেগুলির পুনর্ব্যবহার না করা সত্যি দুঃখজনক৷ ক্রেতাদের বাতিল অথবা অপছন্দ করা জামাকাপড়ের সন্ধান করে আমরা আবার নতুন মূল্য সৃষ্টি করছি৷ তবে কিছু মানুষের এমন ধরনের কাপড়ের চাহিদা রয়েছে৷ এভাবেও মূল্য সৃষ্টি করা হয়৷”

‘ফাস্ট ফ্যাশন’ ধারার কারণে ব্যবহৃত জামাকাপড়ের চাহিদাও বাড়ছে৷ পাউল ড্যোর্টেনবাখ এ ক্ষেত্রে ‘সার্কুলার ফ্যাশন’ উদ্যোগের মারিও মালৎসাখারের সঙ্গেও কাজ করছেন৷ বার্লিনের এই উদ্যোগ পোশাক শিল্পকেও টেকসই মডেলের দিকে ঠেলে দেবার চেষ্টা করছে৷ ড্যোর্টেনবাখ বলেন, ‘আমরা কাসমেরের মতো অতি মূল্যবান পণ্য নিয়েও কাজ করি৷ হাত দিলেই সেটি চেনা যায়৷ উপাদান শনাক্ত করার প্রযুক্তি চালু হলে আরও অনেক কিছু সম্ভব হবে৷ কারণ মিশ্র উপাদানের জামাকাপড়ের ক্ষেত্রে আমাদের নিখুঁত তথ্যের প্রয়োজন হয়৷’

‘সার্কুলার ফ্যাশন’ উদ্যোগের মারিও মালৎসাখার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোনো পোশাকে ৮০ শতাংশ নাকি ৯০ শতাংশ উল রয়েছে, ভবিষ্যতে তা প্রাসঙ্গিক হবে৷ ১০০ শতাংশ উল থাকলে রিসাইক্লিং কোম্পানি অন্য মানের পণ্য তৈরি করতে পারবে৷ অথবা সে ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ উল আছে, শুধু এমন পোশাক বেছে নিয়ে কাজ করা যাবে৷ তখন রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ার শেষে ফ্যাশন শিল্প সেই পণ্য আবার কাজে লাগাতে পারবে৷’

আর পরার উপযুক্ত নয়, এমন কাপড়ের একটা অংশেরও রিসাইক্লিং করা হচ্ছে৷ তার পরিমাণ প্রতিদিন ৬০ টন৷ মূলত গাড়ি শিল্পেই নতুন এই উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।

 



 

Show all comments
  • শান্তনু কুমার সরকার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:২২ পিএম says : 0
    I agree
    Total Reply(0) Reply
  • Sudeshna ২৭ মে, ২০২২, ১:৩৯ পিএম says : 0
    Oshadharon
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জার্মান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ