মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছোট দেশ। কিন্তু বহু প্রচেষ্টায় করোনা সংক্রমণ প্রায় ঠেকিয়ে দিয়েছিল তারা। গোটা দেশে গত এক-দেড় মাসে কোনও স্থানীয় সংক্রমণ ঘটেনি। এ অবস্থায় হঠাৎ করোনা-আতঙ্ক তাইওয়ানে। যিনি প্রথম সংক্রমিত হয়েছেন, তার কোনও রকম বিদেশ সফরের ইতিহাস নেই। কোনও সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসারও খবর নেই। তা হলে? এ রহস্য ভেদ করতে তদন্তে নেমেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ভেসে উঠেছে কয়েকটি সূত্র— গবেষণাগার, ইঁদুরের কামড় ও এক ল্যাব-কর্মী।
দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা সংস্থা ‘অ্যাকাডেমিয়া সিনিকা’-য় কাজ করতেন বছর কুড়ির এক তরুণী। এ সপ্তাহে তার করোনা পজ়িটিভ হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চেন শি-চুং জানিয়েছেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি এই গবেষণাগারে কাজ করতে গিয়ে তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন। মডার্নার কোভিড টিকার দু’টি ডোজই নেয়া ছিল তরুণীর। সম্প্রতি কোনও বিদেশ সফরও করেননি তিনি। তা-ও আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। সন্দেহ করা হচ্ছে, ডেল্টা স্ট্রেন।
শি-চুং না-বললেও অন্য এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন, সংক্রমিত তরুণীকে গবেষণাগারের একটি ইঁদুর কামড়েছিল। ইঁদুরটির শরীরে করোনাভাইরাস ছিল। এই ইঁদুরের থেকে তরুণীর দেহে ভাইরাসের প্রবেশ ঘটেছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তার জন্য আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
বহু কষ্ট করে তাইওয়ান যে প্রায় করোনা-শূন্য খ্যাতি পেয়েছিল, তা এ ভাবে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে, ভাবতে পারেনি কেউ। চীন, হংকং-এর মতো তাইওয়ানও ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। অর্থাৎ দেশকে সম্পূর্ণ ভাবে কোভিড মুক্ত করা হবে। কিন্তু সে লক্ষ্য যে এত সহজে পূর্ণ হবে না, তা বুঝে গিয়েছে তারা।
তাইওয়ানে ১৮টি বায়োসেফটি লেভেল-৩ গবেষণাগার রয়েছে। নিরাপত্তার কড়াকড়ির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংশ্লিষ্ট গবেষণাগারটি। সেটিতে করোনাভাইরাসের মতো বহু ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া নিয়ে কাজ হয়। মাইক্রোবায়োলজিক্যাল এবং ইমিউনোলজিক্যাল পরীক্ষা হয়। বিভিন্ন প্রাণীর (যেমন ইঁদুর) দেহে পরীক্ষা করে দেখা হয় ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা।
প্রাণীর থেকে মানুষের দেহে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা কতটা, তা নিয়ে বিভিন্ন মত আছে। সম্প্রতি ‘সেল’ পত্রিকার একটি রিপোর্টে যেমন দাবি করা হয়েছে, উহানের সি-ফুড মার্কেট থেকে ভাইরাসটি ছড়ানোর থিয়োরি বেশি জোরদার। এই বাজারে একাধিক বন্যপ্রাণী বিক্রি হয়। সেখান থেকে প্রথম ভাইরাসটি হয়তো ছড়িয়েছিল বলে মনে করেন বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশ। আবার আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) জানিয়েছে, প্রাণীদেহ থেকে মানুষের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের প্রবণতা কম। তারা এ-ও জানিয়েছে, এ পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণও নেই। সূত্র: ডেকান হেরাল্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।