পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের এমপি বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে জবাবদিহিতা থাকে না। ইউনিয়ন পরিষদের চিত্র দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র না থাকায় আওয়ামী লীগের লোকেরাই আর নৌকায় ভোট দিতে চাচ্ছে না। দীর্ঘদিন যারা আওয়ামী লীগ করে আসছে, তারা এখন আর আওয়ামী লীগ করতে চাচ্ছেন না। আবার বিএনপির অবস্থা আরো খারাপ। রাজনীতিতে তাদের অবস্থা খুবই হতাশাজনক।
গতকাল বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস, বিজয় দিবস ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি ওইসব কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, নেতৃত্ব নিয়েও বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশাতাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। দেশের মানুষও বিএনপির ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারাই বলেছিলেন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচন ছিলো আওয়ামী লীগের জন্য শেষ সুযোগ। জাতীয় পার্টির সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় যেতে না পারলে আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যেত। এদিকে মাত্র ১৩ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকে ইতোমধ্যেই বিএনপি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৩১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি রাজনীতির মাঠে টিকে আছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে স্বাধীনতার মূল চেতনা ধংস করেছে। এই দু’টি দল দেশের মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল না করলে চাকরি মেলে না, ব্যবসা করতে পারে না। এক সময় পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের সম্পদ লুট করেছে। এখন আমাদের দেশের মানুষ আমাদের সম্পদ লুট করছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ হয়, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনাও আমরা বিদেশী একটি গণমাধ্যমের রিপোর্টে জানতে পেরেছিলাম। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবিধানের মূল চার নীতির তিনটি প্রায় শেষ করে দিয়েছে। সংবিধানের মূল নীতির গণতন্ত্র এখন আর নেই। দেশে সাংবিধানিকভাবেই একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে যিনি সরকার গঠন করেন তিনি নির্বাহী বিভাগের প্রধান হন। আবার যেখানে সরকার প্রধানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে সেই আইন সভা সংবিধানের ৭০ ধারার কারণে সংবিধানিকভাবেই সরকার প্রধানের হাতে। আর বিচার বিভাগ রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে প্রায় ৯৫ ভাগই সরকার প্রধানের হাতে। এমন অবস্থায় যিনি সরকার প্রধান হবেন তিনিই একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। এতে সরকার প্রধান আইনের উর্দ্ধে থাকেন। তাই গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়, সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, মো. শামসুল হক, হাজী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরকার, কাজী আবুল খায়ের, আব্দুস সাত্তার, মো. মহিউদ্দিন ফরাজি, সাখাওয়াত হোসেন দুলাল প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।