Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের ৫ রাজ্যে ওমিক্রন, আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৩২ পিএম

বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন। দেশটির ৫টি রাজ্যে ইতোমধ্যে এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৩ জনে। যে ৫ রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে সেগুলো হলো মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান, কর্নাটক ও দিল্লি। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি-১৭ জন।

গুজরাট রাজ্যে তিনজন, কর্নাটকে দুজন, দিল্লিতে একজন রোগী ওমিক্রন পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন শিশুও রয়েছে। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে ইতোমধ্যে রাজ্যজুড়ে দু’দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যের এক পুলিশ কর্মকর্তা ভারতের বার্তাসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, আগামী শনি ও রোববার রাজ্যের কোথাও বড় জমায়েত বা মিছিল করা থেকে জনগণকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর ভারতে ওমিক্রন সংক্রমিত প্রথম রোগী ধরা পড়ে। তার মাত্র ৯ দিনের মধ্যে রোগীর সংখ্যা ৩৩ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতের জাতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া।

তবে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীদের কারো মধ্যেই গুরুতর অসুস্থতা দেখা যায়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লব আগারওয়াল টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, এখন পর্যন্ত যেসব রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা সবাই করোনার মৃদু উপসর্গে ভুগছেন। তিনি আরও জানান, ভারতে এখনও প্রাধান্যবিস্তারকারী ভাইরাস হিসেবে অবস্থান করছে ডেল্টা। প্রতিদিন যত মানুষ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন, তাদের প্রায় সবাই ডেল্টায় আক্রান্ত। কেন্দ্রীয় সরকার ওমিক্রনের সংক্রমণ চিত্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানিয়েছেন লব আগারওয়াল।

দক্ষিণ আফ্রিকার এক চিকিৎসক বলেছিলেন, সে দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তদের দুই-তিন দিন দুর্বলভাব ছিল, তার সঙ্গে ছিল গা ও মাথা ব্যথা। রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়েনি বলেও জানিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। মহামারীর এক বছর পেরিয়ে যে ডেল্টা সংক্রমণে ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল, ওমিক্রনে সেই ধরনের পরিস্থিতি হওয়ার আশঙ্কা এখনও করছে না দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চের মহাপরিচালক বলরাম ভার্গব বলছেন, ‘ওমিক্রন এখনও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ তৈরি করতে পারেনি। তবে সতর্ক থাকতে হবে। ভারতে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯৫ হাজার। এই করোনা রোগীদের ৫৪ শতাংশ রোগীই কেরালা ও মহারাষ্ট্রের অধিবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওমিক্রন

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ