মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় ইংল্যান্ডে বেশি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এবং ক্রিসমাসের মধ্যেই দিনে ৬০ হাজার জন করে ওমিক্রনে আক্রান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের মহামারীবিদ জন এডমন্ডস এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিনের আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখা লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনে কর্মরত এডমন্ডসের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া সংখ্যার চেয়েও বেশি ওমিক্রন রোগী রয়েছেন।
এডমন্ডস ওমিক্রনকে একটি ‘খুবই গুরুতর ধাক্কা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং জনসংখ্যাকে যত দ্রুত সম্ভব বুস্টার ডোজ টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ হাউস অফ কমন্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে বুধবার বলেছেন, বর্তমান গতিপথে চলতি মাসের শেষ নাগাদ ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই মূহুর্তে এই সংখ্যা ১০ হাজার।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরের শেষের দিকে শুধুমাত্র ০.১% পরীক্ষার ফলাফলে ওমিক্রন ধরা পড়েছিল। সেখানে এখন এটি ৫% এর বেশি। তার মানে এখন যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন প্রায় ২৫০০ জন্য ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ধারণা করা হচ্ছে প্রতি তিনদিনে যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্তের হার দ্বিগুণ হচ্ছে। তার মানে যুক্তরাজ্যে করোনার ডেল্টা ধরন ছড়ানোর গতির চেয়েও দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। ওমিক্রন ছড়ানোর এই উচ্চ গতি মূল ভাইরাসের গতির সাথে তুলনীয়। ২০২০ সালের প্রথম দিকে যখন আমাদের কোন প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল না তখন এই গতিতেই ছড়িয়েছিল করোনাভাইরাস।
যুক্তরাজ্যে এখন প্রতি তিন দিনেই যদি ওমিক্রন সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়ে থাকে তাহলে এই মাসের শেষ নাগাদ তা দিনে ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
বুধবার জাপানের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তারা গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আগের ডেল্টা ধরনের চেয়ে ৪.২ গুণ বেশি দ্রুত গতিতে ছড়ায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা করোনার ডেল্টা ধরনের তরঙ্গের শেষদিকে ছিল এবং এক মাস আগে গড়ে প্রতিদিন মাত্র ৩০০ জনেরও কম রোগী ধরা পড়ছিল। আর এখন সেখানে প্রতিদিন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। ওমিক্রন এখন তাদের কোভিড-১৯ মহামারীর চতুর্থ তরঙ্গের নেপথ্যের কারণ হয়ে উঠেছে।
বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ওমিক্রন ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৫৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত নভেম্বর মাসের শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ঘটে। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।