পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর রামপুরায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সাইকেল র্যালি করেছেন তারা। গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটা রামপুরা ব্রিজ থেকে এ সাইকেল র্যালি শুরু হয়। তবে শুরুতেই শিক্ষার্থীদের র্যালিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। পরে তা উপেক্ষা করার ঘোষণা দিলে ছেড়ে দেয়। চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সোহাগী সামিয়ার নেতৃত্বেই সাইকেল র্যালি শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচির অন্যতম সাইকেল র্যালি। র্যালিটি নটরডেম কলেজের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের একাংশ সাইকলে নিয়ে রামপুরা ব্রিজে ওপর অবস্থান নেয়ে। রাস্তার পশ্চিম প্রান্ত থেকে সাইকেল নিয়ে রাস্তার পূর্ব পাশ্বে আসার সময় প্রথমে বাধা দেয় পুলিশ।
সেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি পালনের বিষয়ে অনড় থাকলে পুলিশ জানায়, অনুমতি ছাড়া র্যালি করা যাবে না। এ সময় রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সড়কে এমন কর্মসূচি পালন করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। তোমাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের দেখতে হবে।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে উপস্থিত সোহাগী সামিয়া বলেন, সড়কে প্রতিদিন সাইকেল চলে, সব ধরনের যানবাহন চলছে। সেখানে তো কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয় না। আর জনগণের সড়কে জনগণের নিরাপত্তা, নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাইকেল র্যালি হবে সেটার জন্য কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। আর এটা পাকিস্তান নয় এটা বাংলাদেশ, এখানে এ ধরনের কর্মসূচির জন্য অনুমতি চাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
বাকবিত-ার মধ্যেই সাইকেলেসহ এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে সড়ক থেকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ সদস্যরা। পরের শিক্ষার্থীরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে বলেন, আপনারা যদি আমাদের শান্তিপূর্ণ সাইকেল র্যালিতে বাধা দেন তাহলে আমরা উল্টো পথে সাইকেল র্যালি করতে বাধ্য হবো। পরে ঊর্ধ্বতনদের অনুমতিক্রমে ছেড়ে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের।
রামপুরা পুলিশ বক্সের সামনে থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সাইকেল র্যালি নিয়ে নটরডেম কলেজের দিকে রওনা দেয়। এসময় সাইকেল রেলিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সাইকেলের সামনে বিভিন্ন সেøাগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায়, চালকের জন্য তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি নিশ্চিত করতে হবে, চালকদের কাউন্সেলিং নিশ্চিত করতে হবে, চালকদের নিয়োগপত্র পরিচয়পত্র নিশ্চিত করতে হবে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে, এক রুটে এক বাস চালু করতে হবে, সড়কে শিক্ষার্থীদের বাসে হাফ পাস নিশ্চিত করতে হবে। এসময় হ্যান্ড মাইকে শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া সেøাগান দেন, এক দফা এক দাবি নিরাপদ সড়ক চাই, সড়কে আর মৃত্যু নয়, নিয়ম সবার জন্য সমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।