পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ হঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আরব বাহিনী সিরিয়ার যুদ্ধে প্রবেশ করলে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। তাই সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর বদলে বরং যুদ্ধবিরতির আলোচনা এগিয়ে নেয়াই উত্তম বলে তিনি মনে করেন। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র এবং আরব দেশগুলোকে এমন এক নতুন বিশ্বযুদ্ধের আশংকার বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, তারা কি একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ চায় এবং তারা কি মনে করে যে সম্ভাব্য সেই যুদ্ধে তারা জয়ী হতে পারবে? সউদি আরব ও তার মিত্ররা সিরিয়ায় স্থল সেনা পাঠালে নতুন বিশ্বযুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশংকা কথা উল্লেখ করে মিউনিখে জার্মান দৈনিক হ্যালেন্ডসব্ল্যাটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। মেদভেদেভ বলেন, নতুন বিশ্বযুদ্ধ শুরু না করে সব শক্তির উচিত সিরিয়া সংঘাত অবসানের জন্য আলোচনার টেবিলে বসা। মেদেভেদেভ প্রশ্ন করেন- ‘আমাদের বন্ধু আমেরিকা ও আরব দেশগুলোকে এ বিষয়ে অবশ্যই জোর দিয়ে চিন্তা করতে হবে : তারা কী স্থায়ী যুদ্ধ চায়?’ তিনি বলেন, সিরিয়ায় খুব দ্রুতই চলমান যুদ্ধে বিজয়ী হওয়া যাবে না কারণ সেখানে সবাই সবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। সিরিয়ায় সউদি আরব স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন করতে প্রস্তত রয়েছে বলে ঘোষণা দেয়ার কয়েকদিন পর রুশ প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বললেন। তিনি আরো বলেছেন, সিরিয়ায় সংঘাত অবসানের জন্য দুপক্ষের ওপর রাশিয়া ও আমেরিকার চাপ সৃষ্টি করা উচিত। ৫ বছর ধরে চলা সিরীয় যুদ্ধের অবসানে দেশটিতে স্থলসেনা পাঠাতে চায় সউদি আরব এবং তার মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এ যুদ্ধে অন্তত ৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষ মারা গেছেন আর উদ্বাস্তু হয়েছেন অর্ধেক সিরীয় নাগরিক। সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়ে সউদি আরবের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে আমেরিকা তবে সিরিয়া ও তার মিত্ররা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লেম বলেছেন, সউদি আরব সেনা পাঠালে তারা শুধু কাঠের কফিন ভর্তি লাশ পাবে। আর রাশিয়া বলেছে, সউদি সেনা পাঠানোকে যুদ্ধ ঘোষণা বলে গণ্য করা হবে। ইরান বলেছে, সউদি আরব সিরিয়ায় সেনা পাঠালে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ঘণ্টাধ্বনি বেজে উঠবে। এএফপি, রেডিও ফ্রি ইউরোপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।