মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নতুন ছায়া মন্ত্রিসভার ইকোনমিক সেক্রেটারির দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় নতুন দায়িত্ব পাওয়ার এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
একই সাথে লন্ডনের ফাইন্যান্সিয়াল সিটির শ্যাডো মিনিস্টার হিসাবেও দায়িত্ব পালন করবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। টুইটে তিনি বলেছেন, প্রায় ছয় বছর ধরে শ্যাডো আর্লি ইয়ার মিনিস্টারের দায়িত্ব পালনের পর আমি ট্রেজারির (নগর মন্ত্রী) শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব নিতে পেরে আনন্দিত। টিউলিপ বলেন, আমি শ্যাডো চ্যান্সেলর রাচেল রিভস এমপির দলে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি। নতুন এই দায়িত্বে ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল লেবার পার্টির ছায়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের হয়ে কাজ করবেন লন্ডনের কিলবার্ন ও হ্যাম্পস্টেড এলাকা থেকে নির্বাচিত লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। ব্রিটেনের ব্যাংক, ইন্সুরেন্সসহ আর্থিক খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেশটির সরকারের কর্মকাণ্ডের ওপর লেবার দলের পক্ষ থেকে নজরদারি করবেন তিনি।
২০১৬ সালে লেবার পার্টির শ্যাডো মিনিস্টার ফর আর্লি ইয়ার্স এডুকেশন নির্বাচিত হয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। সেই সময় তিনি শিশু কল্যাণ ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন। লেবার পার্টির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিন নেতত্বাধীন প্রথম ছায়া মন্ত্রিসভার সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল ডাগারের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেছিলেন টিউলিপ। রিজেন্ট পার্কের কাউন্সিলর এবং ক্যামডেন কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড কমিউনিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ ব্রিটিশ লেবার পার্টি ও কো-অপারেটিভ পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। লন্ডনের হ্যামস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে নির্বাচিত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি লন্ডনের হ্যামস্টেড ও কিলবার্নে বসবাস করছেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে তিনি পলিটিকস, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হওয়া টিউলিপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন অথরিটি ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী ক্রিস পার্সির সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বসবাস করেন। এ দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তাদের মেয়ে আজালিয়া জয় পার্সি ও ছেলে রাফায়েল মুজিব সেন্ট জন পার্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।