Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর কে এই শলৎস?

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৬ পিএম

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল আট ডিসেম্বর নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেবেন ওলাফ শলৎস। সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির এই রাজনীতিবিদ সম্পর্কে জেনে নিন ছয়টি তথ্য।

জার্মান নির্বাচনে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল থেকে চ্যান্সেলর পদে লড়েছেন ওলাফ শলৎস। সবকিছু ঠিক থাকলে বুধবার চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। বিদায়ী খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউ এবং সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি জোট সরকারে একইসঙ্গে ডেপুটি চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

১৯৫৮ সালের ১৪ জুন পশ্চিম জার্মানির অসনাব্রুকে জন্ম নেন ওলাফ শলৎস। ১৯৭৫ সালে হাইস্কুলে পড়ার সময় এসপিডিতে যোগ দেন তিনি। এসপিডির রক্ষণশীল অংশের সদস্য বিবেচনা করা হয় তাকে। আবার এটাও ঠিক, তিনি বাম নাকি ডানপন্থি, তা বোঝাও কঠিন। এসপিডির যুবদলের ডেপুটি লিডার হিসেবে তার অনেক বক্তব্য ক্যাপিটালিজমের কট্টর সমালোচনা বলে বিবেচিত হয়েছিল।

১৯৯৮ সালে প্রথমবার জার্মান সাংসদ নির্বাচিত হন শলৎস। হামবুর্গে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি। ব্যবসায়িক আইন বিষয়ে তার পারদর্শিতা ছিল। সে কারণে অর্থনীতি ও ব্যবসা কীভাবে চলে সে সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। সেই অভিজ্ঞতা সরকারি কাজে লাগিয়েছেন শলৎস।

ইতোমধ্যে কঠিন সংকট মোকাবিলায় দক্ষ এক রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছেন শলৎস। করোনা মহামারির সময়টাতে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সেই সময় ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত অর্থ সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখায় তার ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে।

২০১৯ সালে এসপিডির প্রধান পদে লড়েছিলেন ওলাফ শলৎস। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তার চেয়ে রাজনীতিতে কম অভিজ্ঞদের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। তাতে অবশ্য দমে যাননি তিনি। বরং গতবছর তার দল তাকে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। এসপিডি, মুক্ত গণতন্ত্রী দল এফডিপি ও সবুজ দলের গড়া জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেন তিনি। সূত্র: ডয়চে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জার্মানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ