বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদারীপুরের রাজৈরে জোড়া খুনের মামলা থেকে রেহাই পেতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভ্যান চালক সালাম শেখকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে স্থানীয় হেমায়েত শেখ ও আইনাল শেখ গং। আর এই হত্যার পরিকল্পনাকারী হোসেনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেন চুন্নু মাতুব্বরসহ আগের জোড়া খুনের মামলার আসামিরা। পুলিশি তদন্তে এ তথ্য উঠে আসার পর ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ সালাম শেখ হত্যা মামলার বাদী হেমায়েত শেখসহ ১৩ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি উপজেলার উত্তর হোসেনপুর গ্রামে জামাল খালাসী ও দেলোয়ার মেম্বার গ্রুপের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে জুলফিকার আলী খালাসী ও বাবুল মুন্সী গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুলফিকার আলী খালাসীর বড় ভাই শহীদ খালাসী বাদী হয়ে ৮৪ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মোফাজ্জেল হোসেন চুন্নু মাতুব্বর, আইনাল শেখ, হেমায়েত শেখকে আসামি হয়েছিল। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে এসে হত্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই চক্রটি নতুন করে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা মোতাবেক ২০২১ সালের ২৩ মে রাতে চাঁদের বাজার থেকে ভ্যান নিয়ে ফেরার পথে সালাম শেখকে হোসেনপুর-কাঁচাবালি সড়কের ব্রিজের কাছে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সালাম শেখ হত্যার ঘটনায় ২৫ মে হেমায়েত শেখ বাদী হয়ে ৪১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে সালাম শেখের স্ত্রী, মা, ছেলে ও মেয়েরা থাকতে হেমায়েত শেখ বাদী হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে এই চক্রটি শুধু সালাম শেখকে হত্যা করেই থেমে থাকেনি। এরপর তারা হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহ করতে এবং প্রতিপক্ষদের ফাঁসাতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছে।এর পরই নড়েচড়ে বসে রাজৈর থানা পুলিশ। তদন্ত করে সালাম শেখ হত্যার আসল রহস্য উন্মোচন করে তারা। হত্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত দুজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হলে তারা অকপটে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কাওছার জানান, জোড়া খুনের মামলার আসামিরা মামলা থেকে রেহাই পেতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে সালাম শেখকে হত্যা করেছে। এরপর সালাম শেখ হত্যা মামলার ৪১ জন আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত ১৩ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
রাজৈর থানার ওসি শেখ সাদিক জানান, সালাম শেখ হত্যার রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। এতে করে মিথ্যা মামলায় ৪১টি পরিবার হয়রানির হাত থেকে রেহাই পেয়েছে । সেই সঙ্গে প্রকৃত দোষীদের নামে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।