Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওমিক্রন থেকে নিরাপদ নয় শিশুরাও

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:২১ পিএম

দক্ষিণ আফ্রিকাতে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন। এই সংক্রামক স্ট্রেন ঘুম কেড়েছে বিশেষজ্ঞ মহলের। কিন্তু, আরও একটি বিষয় উদ্বেগে ফেলছে বিশেষজ্ঞ মহলকে। তা হল দক্ষিণ আফ্রিকায় শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত।

করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল কোভিড থেকে অনেকাংশে সুরক্ষিত শিশুরা। কিন্তু, হঠাৎই উলোট পুরান। সংশ্লিষ্ট দেশের ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিকেবল ডিজিজ এর পক্ষ থেকে ডা: ওয়াসিলা জাসাত বলেন, 'আমরা দেখেছি দেশের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে শিশুরা খুব একটা বেশি করোনায় আক্রান্ত হননি। কিন্তু, তৃতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। সেই সময় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের থেকে শুরু করে ১৫-১৯ বছর বয়সীরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল। করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের ক্ষেত্রে সমস্ত বয়সের মানুষদের দেহে থাবা বসাচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন। এক্ষেত্রে অনুর্ধ্ব ৫-দের দেহে বেশি করে থাবা বসাচ্ছে কোভিড।'

এক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন শিশুদের জন্য বেশি সংক্রামক। ওয়াসিলার কথায়, 'যত দিন যাচ্ছে তত শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। ৫ অনুর্ধ্ব শিশুদের ভর্তি করতে হচ্ছে হাসপাতালে। দেশে সবথেকে বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন ৬০ ঊর্ধ্বরা। তারপরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ৫ বছরের কম বয়সীরা। তবে চতুর্থ ঢেউয়ের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে দেশ। সেক্ষেত্রে এখনই কোনও মন্তব্য বা সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়।'

এদিকে এনআইসিডি-র চিকিৎসক মিশেল গ্রুম জানাচ্ছেন, কেন শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন সেই বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই দেশে ৩ জনের দেহে থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন স্ট্রেন। মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরতদের দেহেই দেখা যাচ্ছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়্যান্ট। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় শিশুদের দেহে করোনার এই নতুন স্ট্রেনের থাবা বসানোর ঘটনা সামনে আসায় উদ্বিগ্ন ভারতের মহামারী বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ