পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
প্রাণঘাতি কাভিড-১৯ পুনরায় ভয়াবহ হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এতে রাশিয়ায় গড়ে দৈনিক এক হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক। ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও করোনার প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এর মধ্যে জার্মানিতে বেশি। হু’র ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালক ক্লুগ গত ২০ নভেম্বর বিবিসিকে বলেছেন, অঞ্চলটিতে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৪,২০০-তে দাঁড়িয়েছে, যা গত সেপ্টেম্বরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। ইউরোপের ৫৩টি দেশের মধ্যে ২৫টি দেশেই করোনা পরিস্থিতি ‘অতিমাত্রার উদ্বেগজনক। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে আগামী বছরের মার্চের শুরুতে মোট মৃতের সংখ্যা ২২ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। কোনো কোনো দেশে করোনার ৪র্থ ও পঞ্চম ঢেউ চলছে। তাই করোনা প্রতিরোধের জন্য ইউরোপে টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। শিশুদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে। ইউরোপের কোনো কোনো দেশে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কোথাও কোথাও ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে। এশিয়ায় চীন, ভারত, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও আমেরিকা মহাদেশেও করোনা পুনরায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, হংকং, ভারত, ইসরাইল ও বেলজিয়ামে ‘বি.১. ১.৫২৯’ নামে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে, যা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও বেশি সংক্রামক। এটি ৩২ রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর নামকরণ করেছে ‘ওমিক্রন’। সংস্থাটি এ ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত টিকা ‘ওমিক্রনকে প্রতিরোধ করতে পারবে কি-না তা নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান চিকিৎসা পরামর্শক নতুন এ ধরনকে ‘ভয়াবহ’ ও ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে খারাপ ধরন’ বলে উল্লেখ করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাশের দেশগুলোর সাথে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বহু দেশ। ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দেশগুলোর সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া, নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আতংকে জ্বালানি তেলের মূল্য অনেক কমেছে এবং স্টক মার্কেটের দর পতন হয়েছে। পরিস্থিতি মূল্যায়নে প্রতীয়মান হচ্ছে, করোনা পুনরায় মহামারির আকার ধারণ করবে বিশ্বব্যাপী। করোনা মহামারির ব্যাপক ক্ষতি সামাল দিয়ে বিশ্ববাসী যখন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে, তখনই এই এ ব্যাধি পুনরায় ব্যাপকতর হওয়া মড়ার উপর খাঁড়ার ঘার শামিল!
করোনায় এ পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। তন্মধ্যে প্রায় ৫৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছে প্রায় ২৪ কোটি মানুষ। এসব ক্ষেত্রে বয়স্ক মানুষ বেশি। তবে, শিশুরাও রয়েছে। বহু স্বাস্থ্যকর্মী পর্যন্ত এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে অনেকের। করোনার কারণে বেশিরভাগ মানুষের মানসিক বিষন্নতা সৃষ্টি হয়েছে। করোনা প্রতিরোধ করার জন্য বহু দেশে দীর্ঘদিন লকডাউন দেওয়া হয়েছিল। তাতে সব কিছু বন্ধ হয়ে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিল। ফলে বিশ্ব অর্থনীতি অনেক সংকুচিত হয়ে বৈশ্বিক মহামন্দা সৃষ্টি হয়েছে। যা ১৯২০ সালের মন্দার চেয়েও বেশি।ফলে নতুন করে প্রায় ১০ কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে। বেকার হয়েছে কয়েক কোটি শ্রমিক।কর্মরত শ্রমিকদেরও মজুরি কমে গেছে অনেক। এছাড়া, চরম খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বব্যাপী। দীর্ঘদিন শিক্ষাঙ্গন বন্ধ থাকায় ৬০ কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষায় চরম অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ড্রপ আউটের সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপক।তাদের বেশিরভাগ শ্রমে নিযুক্ত হয়েছে। বাল্য বিবাহও বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র করোনার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা তৈরি করেছে। তিন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত এ তালিকায় রয়েছে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’, ‘মোটামুটি ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ‘নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ। এ তালিকায় রয়েছে মোট ৭০টি দেশের নাম। আঙ্কটাডের ‘লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিস রিপোর্ট ২০২১’ মতে, করোনা মহামারির কারণে দারিদ্র্য, শিক্ষা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলো যে অগ্রগতি অর্জন করেছিল তা থেমে গেছে। হু সম্প্রতি জানিয়েছে, করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী মেন্টাল ডিপ্রেশন বৃদ্ধির কারণে ব্যক্তি পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। ফলে প্রতিবছর ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় এর মধ্যেই প্রতিষেধক তথা ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কার হয়েছে। এ পর্যন্ত অ্যাষ্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোভ্যাক্স, মডার্না, বায়োএনটেক, কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড ইত্যাদি আবিষ্কার হয়েছে। এছাড়া, করোনার পিল (ব্রিটেনের মলনুপিরাভি ও ফাইজারের প্যাক্সলোছিড) এবং ভাপ (চীনা বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এটি জার থেকে মুখ দিয়ে শ্বাসের সঙ্গে টেনে নিতে হয়। যা সরাসরি শ্বাসযন্ত্রে পৌঁছে কোভিডের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে) আবিষ্কার হয়েছে। এসবের বেশিরভাগ আবিষ্কার করেছেন চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। এগুলো ব্যবহারের ফলে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে। কিন্তু অবশ্য করোনার টিকা নেওয়ার পরও অনেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া, যারা সুস্থ হয়েছে, তাদের অনেকের মধ্যেই লং কোভিড সমস্যা দেখা দিয়েছে। উপরন্তু তাদের খাবারের স্বাদও নষ্ট হয়েছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা রিপোর্ট মতে, মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন এমন আমেরিকানরা ৬ মাসের অধিক সময় ধরে ঘ্রাণের অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছিলেন। সর্বোপরি টিকা গ্রহণের পর অনেকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে। তবুও বেশিরভাগ মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী। জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, টিকা নিন। নইলে এবারের শীত মৌসুম শেষ হতে হতে হয় সবাই করোনায় ভুগবেন, নয়তো মরবেন। যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও ৬ মাস পরে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
টিকার মূল্য অত্যধিক হওয়ায় বেশিরভাগ দেশের অধিকাংশ মানুষ টিকা নিতে পারেনি! উৎপাদকদের অতি মুনাফার কারণেই এটা হয়েছে। ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্না তাদের টিকা বিক্রি করে গড়ে প্রতি মিনিটে ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার আয় করছে বলে সিঙ্গাপুরের এক পত্রিকায় প্রকাশ। এছাড়া, অ্যাস্ট্রাজেনেকাও অলাভজনকের পথ পরিহার করে লাভের পথ খুঁজছে বলে জানা গেছে। বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ এবং জাতিসংঘ টিকা প্রযুক্তি বিশ্বজনীন ও সুষম বণ্টন এবং স্বল্প মূল্যের করার কথা বলার পরও তা করা হয়নি, যা একবিংশ শতকের প্রধান মানবতা বিবর্জিত কর্ম। করোনার টিকার মূল্য মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার জন্য ধনী দেশগুলোও দায়ী। তারা প্রয়োজনের অধিক টিকা কিনে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে দুই ডোজ দেওয়ার পর এখন বুষ্টার তথা তৃতীয় ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও তৃতীয় ডোজ হিসাবে স্পুটনিক নিয়েছেন নাক দিয়ে। হু বুস্টার ডোজের ওপর স্থগিতাদেশের আহ্বান জানানোর পরও তারা এটা করছে। উপরন্তু ধনী দেশগুলো বিপুল পরিমাণে টিকা নষ্ট করেছে মেয়াদ শেষ হওয়ায়। অবশ্য তারা কিছু টিকা গরিব দেশকে দান করেছে। করোনার টিকা প্রদান, বহু দেশে দান ও বিক্রি করার ক্ষেত্রে চীন শীর্ষে রয়েছে। দেশটি এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ১৮০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে। তদুপরি চীনের প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, এ বছরের মধ্যে চীন ২শ’ কোটি ডোজ টিকা বিশ্বে সরবরাহ করবে।
করোনা মহামারি ব্যাপকতর হওয়ার জন্য মানুষও কম দায়ী নয়। বিনা ব্যয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাজটিও করেনি তারা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বিশেষজ্ঞরা বহুবার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রচার মাধ্যমগুলোতে তা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। কোনো কোনো দেশের সরকার স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য কঠোর পন্থা গ্রহণ করেছে। তবুও বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি! স্বাস্থ্যবিধির অন্যতম হচ্ছে, নির্ধারিত দূরত্ব মেনে চলা, বাইর থেকে ঘরে বা কর্মস্থলে ফেরার পর সাবান দিয়ে হাত-মুখ ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা ও করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিনে রাখা। কিন্তু এই সামান্য কাজটিও বেশিরভাগ মানুষ করেনি।
যা’হোক, আবার করোনার প্রকোপ পুনরায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ ডা. ফাউসি বলেছেন, সামনের শীতে করোনার নতুন ঢেউ শুরু হতে পারে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ২০২২ সালেও চলবে করোনা মহামারি। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, করোনা আজীবন থেকে যাবে বিভিন্ন ভাইরাসের ন্যায়।তাই করোনার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে বিশ্বের সর্বত্রই। করোনা প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যার প্রধান হচ্ছে, টিকা, পিল ও ভাপ ইত্যাদি। এ জন্য বিশ্বের অন্তত অর্ধেক মানুষকে দুই ডোজ টিকা দিতে হবে। সে সাথে পিল ও ভাপেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে হবে। বায়োএনটেকের সিইও শাহিন বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যে সুস্থ থাকতে প্রতি বছরই টিকা নেয়া প্রয়োজন। তাই করোনার টিকা, পিল ও ভাপের প্রযুক্তি বিশ্বজনীন করা দরকার। তাহলে বহু দেশ সক্ষমতা অনুযায়ী এগুলো উৎপাদন করতে পারবে। তাহলে মূল্য ও পরিবহন ব্যয় অত্যন্ত কমে গিয়ে গরিব দেশের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবে। ফাইজার ইতোমধ্যেই প্রযুক্তি সকলের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এখন বাকী সংস্থাগুলোরও এটা করা দরকার। করোনার টিকা, পিল ও ভাপ ক্রয়, সংরক্ষণ ও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই গরিব দেশগুলোর। তাই এ ক্ষেত্রে ধনী দেশ ও সংস্থাগুলোর সহায়তা করা আবশ্যক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ২৮ অক্টোবর বলেছে, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে আগামী এক বছরে ২,৩৪০ কোটি ডলার প্রয়োজন। যা বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা প্রদান, পরীক্ষা করা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করায় ব্যয় করা হবে। একইসঙ্গে চলমান মহামারির রাস টানতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর উন্নয়ন, উৎপাদন, ক্রয় এবং বণ্টনে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা ব্যবস্থায় ব্যাপক বৈষম্য রোধেও এই অর্থ কাজে লাগবে। হু’র মহাপরিচালক বলেছেন, করোনা থেকে জীবন রক্ষা করে টিকা। কিন্তু টিকা পুরোপুরি সংক্রমণ রোধ করে না। সংক্রমণ রোধ করে স্বাস্থ্যবিধি। বলা বাহুল্য, স্বাস্থ্যবিধি মাণ্য করার বিকল্প নেই।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।