Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ে না করেও একসাথে থাকছেন বাংলাদেশের যে তরুণ তরুণীরা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ পিএম

বাংলাদেশে গত এক দশক ধরে উন্নত অনেক দেশের মতো বিয়ে বা সামাজিকভাবে স্বীকৃত সম্পর্কের বাইরে গিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের একত্রে বসবাস বা লিভ টুগেদারের চল দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে যদিও লিভ টুগেদার সামাজিকভাবে স্বীকৃত, কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণশীল সমাজে ছেলে-মেয়ের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক বা একত্রে থাকা ভালো চোখে দেখা হয় না।

ফলে বাংলাদেশে এখনো এ ধরনের সম্পর্ক খুবই সীমিত পরিসরে এবং গোপনে রয়েছে। তবে বিশ্বায়ন ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের সম্পর্কের সংখ্যা ধীরে হলেও বাড়ছে বলে সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন। এই বিষয়ে বিবিসি বাংলার কথা হয়েছে ঢাকায় বসবাসকারী দুই যুগলের সঙ্গে, যারা প্রচলিত সম্পর্কের বাইরে গিয়ে একত্রে বসবাস করছেন। তাদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে কারও নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।

'ক' বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, ''আমাদের বিয়ের ব্যাপারে দুই পরিবারই প্রাথমিক সম্মতি জানিয়েছে । কিন্তু যখন আমরা দ্বৈত-জীবন শুরু করি এসব চিন্তা মাথায় ছিল না। দুই পরিবারই তুলনামূলক রক্ষণশীল হওয়ায় তখন এতটা অন্তরঙ্গতা মেনে নিতেন না। তাই আমরা পরিবার এ সংক্রান্ত কিছুই জানতে দেইনি। পরস্পরের বোঝাপড়া দারুণ ছিল তাই পারিবারিক স্বীকৃতির কথা না ভেবেও আমরা একসাথে থাকা শুরু করেছিলাম।''

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবী একজন তরুণী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''একত্রে চাকরি করতে গিয়ে আমাদের দুজনের দুজনকে ভালো লাগে। কিন্তু ওর পরিবারে অনেক দায়িত্ব রয়েছে, এখন তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। আমিও এখনি বিয়ে করতে চাই না।'' ঢাকার একটি অভিজাত এলাকায় তারা একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে থাকেন। ভাড়া নেয়ার সময় তারা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে থাকবেন বলে পরিচয় দিতে হয়েছে।

এই তরুণী বলছিলেন, ''আমাদের দুজনকেই ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হতো। তখন ভাবলাম, তাহলে একসাথেই কেন থাকি না। দুজনের খরচ যেমন কমনে, পাশাপাশি দম্পতি হিসাবে আমরা কেমন হবো, বোঝাপড়া কেমন হবে, সেটাও পরিষ্কার হবে। এসব ভেবেই একসঙ্গে বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করি।'' তবে দুজনের পরিবার তাদের একত্রে থাকার বিষয়ে এখনো জানে না।

লিভ টুগেদারে বাংলাদেশের যুগলরা কতটা আগ্রহী হয়ে উঠেছে, এ নিয়ে বাংলাদেশে এখনো কোন গবেষণা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে যখন যুগলদের মধ্যে নানা সমস্যা দেখা দেয়, তখন তাদের পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে কোন আইনগত বা সামাজিক সম্পর্কের বাইরে গিয়ে এভাবে একত্রে বসবাসের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

'খ' জানাচ্ছিলেন, তার পরিচিত এরকম বেশ কয়েকটি যুগল রয়েছে, যারা এভাবে একত্রে বসবাস করছেন। কয়েকটি দম্পতি রয়েছে, যারা একসময় লিভ টুগেদার করতেন, তবে এখন বিয়ে হয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ রয়েছেন, যারা একসময় লিভ টুগেদারে থাকলেও সেই সম্পর্ক এখন ভেঙ্গে গেছে। তবে অনেকের মধ্যেই এ ধরনের সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বলে তিনি জানান।

বেসরকারি সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের পরিচালক নীনা গোস্বামী বলছেন, ''আমাদের কাছে এমন অনেক অভিযোগ আসে, যে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একত্রে বসবাস করেছেন। কিন্তু এখন বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তারা সরাসরি লিভ টুগেদার করার কথা বলে না। কিন্তু এ ধরণের অভিযোগের সংখ্যা একেবারে কম নয়।'' এসব ক্ষেত্রে সাধারণত প্রতারণা বা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।

খোঁজ নিয়ে যানা যাচ্ছে, শুধু উচ্চবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো নয়, সমাজের নিম্নবিত্ত পরিবারের মধ্যেও এভাবে বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া একত্রে বসবাসের চল রয়েছে। একটি কারখানার কর্মকর্তা সিদরাতুল মুনতাহা বলছেন, ''পেশাগত কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, নিজেদের মধ্যে ভালোলাগা থেকে অনেক কর্মী বা শ্রমিক আনুষ্ঠানিক কোন সম্পর্ক ছাড়াই একত্রে বসবাস করছেন। সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হলে অনেক সময় আমাদের কাছে অভিযোগও আসে। আবার কিছুদিন পরে হয়তো তাদের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়, আবার নতুন কারও সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে। '' প্রেম থেকে, একাকীত্ব কাটানো বা আর্থিক সাশ্রয়ের কথা ভেবে অনেকে এভাবে সম্পর্কে জড়ান বলে তিনি ধারণা করেন।

বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে যারা বিয়ে ছাড়া একত্রে বসবাস শুরু করেছেন, তাদের বেশিরভাগই এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। বিবিসি বাংলার সঙ্গে যারা কথা বলেছেন, তারাও সামাজিকতার কথা ভেবে পরিচয় প্রকাশ করতে আগ্রহী নন। তবে বাংলাদেশের রক্ষণশীল সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে লিভ টুগেদার করতে গিয়েও তাদের নানারকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। যেমন বাসা ভাড়া নেয়া বা বাসার কাজের লোকজনের কাছে বিবাহিত হিসাবে পরিচয় দিতে হচ্ছে এই যুগলকে।

'ক' বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''আমরা বিবাহিত, এটা বলে আমাদের বাসা নিতে হয়েছিল এবং সবসময়ই সতর্ক থাকতে হয়েছিল বাড়ির মালিকের সামনে। তবে সুখের বিষয়, তিনি আমাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব বেশি কৌতূহলী ছিলেন না। '' ইংরেজি প্রচলিত টার্ম 'লিভ টুগেদার' না বলে একে দুইজন মানুষের দ্বৈত-জীবন বলে বর্ণনা করতে চান 'ক'।

ঢাকার একটি বাসায় তারা এক বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। কিন্তু তারা যে বিয়ে না করে একত্রে বাস করছেন, সেটা হাতেগোনা খুব কয়েকজন কাছের বন্ধু জানেন। এমনকি দুই পরিবারের লোকজনও এই বিষয়ে জানে না। ''যারা আমাদের জাজ করবে না বা বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচকভাবে দেখে না, শুধু তারাই আমাদের এই বিষয়টি জানে।''

তিনি বলছিলেন, ''দ্বৈত-জীবন শুরু করা সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরস্পরের মানসিকতার সামঞ্জস্য না হলে একসাথে থাকা কষ্টকর হয়ে যায়। আমাদের বেলায় কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে দুই পক্ষকেই। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আমার যতটুকু করার ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি সঙ্গীর থেকে। এটা সম্ভব হয়েছে তার সাথে মানসিকতার মিল থেকেই।''

'খ' বলছিলেন, বাড়িওয়ালা বা বুয়া বা আশেপাশের লোকজন অনেক সময় ব্যক্তিগত বিষয় জিজ্ঞেস করে শ্বশুর বাড়ি কেমন, কীভাবে বিয়ে হল। তখন আমাকে সবসময়ে একটা গল্প তৈরি করে রাখতে হয়। মনে রাখতে হয়, আমি আগেরবার কী বলেছি, সেটার সঙ্গে যেন মিল থাকে। খুবই সাবধানে থাকতে হয় বিষয়টা নিয়ে।'' একজন সঙ্গীর বাড়ির লোকজন এলে তখন অন্যজন বন্ধু বা অন্য কোথাও কয়েকদিন থেকে আসেন। তার পরিচিত যারা এভাবে থাকছেন, তারাও নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টি গোপন করে এভাবে থাকছেন বলে তিনি জানান।

এখনো বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ বিয়ে অথবা সামাজিক সম্পর্কের বাইরে গিয়ে ছেলে-মেয়ের একত্রে বসবাসকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সমাজবিজ্ঞানী ড. মাহবুবা নাসরীন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''সমাজ তো পরিবর্তন হচ্ছে। দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হলেও বিশ্বায়নের কারণে মানুষের আচরণে একটা পরিবর্তন তো পড়েছেই। উন্নত দেশ, আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশেও ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে একসাথে বসবাসের চল তৈরি হয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখনো সামাজিকভাবে স্বীকৃত না হওয়ায় এটা লুকানো রয়েছে। তবে এই অনুশীলন কিন্তু দেখা যায়।''

''বিশ্বায়নের কারণে অনেক কিছুর অনুকরণ হতে দেখি। সেটার একটা প্রভাব তো সমাজের ওপর পড়ে। সেই পরিবর্তনের ছোঁয়া সব জায়গাতেই লাগে। সমানভাবে না লাগলেও কোথাও কোথাও সেটা স্পর্শ করে যায়। সেটাই আমরা দেখতে পাচ্ছি,'' মাহবুবা নাসরীন বলছেন। তিনি বলছেন, ''আমি বলবো, প্রতিবেশী দেশ বা অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে হয়তো সংখ্যাটা এখনো নগণ্য। তবে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন কোন কোন জায়গায় হচ্ছে, সেটা তো পরিষ্কার। তবে মানুষের মধ্যে এই ধরনের জীবনযাপন বাংলাদেশে ধর্মীয় বা সামাজিকভাবে এখনো গ্রহণযোগ্য নয়। '' বলছেন অধ্যাপক নাসরীন।

'খ' বলছেন, তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে সহপাঠী বা বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক সময় নেতিবাচক কথাও তাকে শুনতে হয়েছে। অন্য যুগলরাও বলছেন, 'লিভ টুগেদার' এখনো বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ নেতিবাচক চোখে দেখে। কারণ এটা জানতে পেরে অনেকেই সহজে মেনে নিতে পারেন না। তাদের সঙ্গে অন্যরকম আচরণ করতে শুরু করেন। কিন্তু যেভাবে সমাজের একটি অংশ এরকম সম্পর্কে জড়াচ্ছে, তাতে একসময় মানুষের সেই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে বলে তারা আশা করছেন।

বাংলাদেশের আইনে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ের লিভ টুগেদার করার পক্ষে বা বিপক্ষে কোন পরিষ্কার আইন নেই বলে বলছেন ব্যারিস্টার মিতি সানজানা। ''বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোন নারী-পুরুষ যদি একসঙ্গে বসবাস করতে যায়, তাহলে তাকে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী বিবাহিত হতে হয়। যেমন মুসলিম আইন অনুযায়ী তাকে রেজিস্ট্রেশনও করতে হবে। কিন্তু কেউ রেজিস্ট্রেশন না করেও ধর্মীয় বিধান মেনে সাক্ষীর উপস্থিতিতে যদি বিয়ে করে, সেটাও গ্রহণ করা হয়,'' তিনি বলছেন।

ব্যারিস্টার সানজানা বলছেন, বিবাহিত ব্যক্তি যদি কোন বিবাহিত বা অবিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে লিভ টুগেদার করে, সেটা নানারকম আইনের মধ্যে পড়ে, নানা শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে যদি একত্রে বসবাস করে, সেক্ষেত্রে আইনে সরাসরি বা পরিষ্কারভাবে কিছু বলা নেই। ''তবে প্রত্যেকটা ঘটনার ক্ষেত্রে আসলে ফ্যাক্টচুয়ালি ডিপেন্ড করবে। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো পাবলিক ইনডিসেন্সি মনে করা হতে পারে। তবে সরাসরি কোন আইনের ধারায় সরাসরি কিছু করার সুযোগ নেই। সাধারণত যা হয়, এরকম ক্ষেত্রে আইনি বিষয় চলে এলে তখন নানারকম আইনের আওতায় কোন একটাভাবে তাদের ফেলে দেয়া হয়,'' বলছিলেন ব্যারিস্টার মিতি সানজানা। উন্নত দেশগুলোয় একত্রে বসবাস করলে সঙ্গীর একটা অধিকার তৈরি হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এরকম কোন বিধান নেই বলেও তিনি জানান। সূত্র: বিবিসি।



 

Show all comments
  • Faiz Ahmed ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ৩:২০ পিএম says : 0
    বিবিসি বাংলা এত গোপন খবর জানল কিভাবে??
    Total Reply(0) Reply
  • Asadul Islam ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৩২ পিএম says : 1
    ‌যে‌হেতু দে‌শের প্রচ‌লিত আইন অনুযায়ী বিবাহ ছাড়া এক‌ত্রে বসবাস কর‌লে কোন অ‌ধিকার তৈ‌রি হয় না সে‌হেতু এ‌ক্ষে‌ত্রে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। অন‌্যদি‌কে এ‌টি ধর্মীয় দিক থে‌কে ক‌ঠিন অপরাধ। সুতরাং প‌শ্চিমা সংস্কৃ‌তির দোহাই দি‌য়ে ধর্মীয় অনুশাস‌নে বিশ্বাসী দে‌শের জন‌্য এ ধর‌ণের সংস্কৃ‌তির লালন-পালন কোন ক্রমেই মঙ্গলজনক নয়
    Total Reply(0) Reply
  • মিফতাহুল জান্নাত ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৩২ পিএম says : 2
    এদের কোনো ধর্ম নেই, নেই এদের কোনো সমাজ, এদের একটাই ধর্ম কর্ম অশ্লীলতা ছড়ানো।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahadi Hasan ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৩৪ পিএম says : 0
    সর্বশেষ বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের মামলার আসামি ছেলেরা
    Total Reply(0) Reply
  • Alamgir Apu ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৩৫ পিএম says : 3
    আল্লাহর আজাব আর গজবের অপেক্ষায় থাকুন, কেয়ামত খুবই সন্নিকটে। শেষ জামানায় যেনা ব্যভিচার কে মানুষ পাপ মনে করবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashiqur Evan ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৩৭ পিএম says : 2
    ঢাকায় সামাজিকতা বলতে কিছু নাই,টাকা হলেই হলো । এইসব কর্মকান্ড সামাজিকতার চরম অবক্ষয়।
    Total Reply(0) Reply
  • নাহিদ হাসান শাহীন ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫০ এএম says : 1
    এভাবে সমাজ নষ্ট হয়ে যায়। সব ধর্মই বিবাহবহির্ভূত মেলামেশাকে সাপোর্ট করে না।
    Total Reply(0) Reply
  • মুফতি জাহিদ মেহজাদ ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:৩৩ এএম says : 1
    আল্লাহর ধরা আপাতত বাদ দিলাম, কতোধানে কতোচাল বুঝবি , যখন সম্পর্কের টানাপোড়েনে ক্ষিপ্ত মেয়েটি ধর্ষণের মামলা ঠুকে দিবে...
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mohiuddin ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৫৬ পিএম says : 0
    বিবিসি বাংলা একটা অবৈধ সম্পর্ককে বৈধতা দেয়ার জন্য ইনিয়ে বিনিয় পাশ্চাত্যের অসভ্যতাকে এদেশে চালু করতে পরোক্ষভাবে প্ররোচিত করছে। এরা নিজেদের নষ্টামীকে চরিতার্থ করার জন্য সমাজে এ অপকর্ম ছড়িয়ে দিতে এসব পাপাচাররকে প্রমোট করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shahidul Islam ৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:২২ পিএম says : 0
    আল্লাহর আজাব আর গজবের অপেক্ষায় থাকুন, কেয়ামত খুবই সন্নিকটে। শেষ জামানায় যেনা ব্যভিচার কে মানুষ পাপ মনে করবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:৩৩ পিএম says : 0
    Our country is ruled by Kafir law as such all these adultery, fornication is happening. O'Allah wipe out this enemy of Allah and establish the law of Allah, they have destroyed our country in everyway.
    Total Reply(0) Reply
  • লুৎফুর রহমান ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:১৫ পিএম says : 0
    এসব সংবাদ লেখার মানে কি? অপরাধকে স্বাভাবিক করে তোলা?! অপরাধীদের মত এরাও অপরাধী৷
    Total Reply(0) Reply
  • Farhad ৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:৪৭ এএম says : 0
    বিবিসি একটা ইসলাম ও মুসলমানদের দুষমন, এরা আল্লাহর হারাম করা বিধান কে হালাল করার ধান্দা করছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ