নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জয়ের জন্য সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য- ২৮৪। রেকর্ড রান তাড়ায় ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। হুট করে ব্যাটিং ধসে বদলে যায় চিত্র। চতুর্থ দিনে শেষ বেলায় ৪ ওভারের মধ্যে ওপেনার উইল ইয়ংকে হারিয়ে চাপেও পড়েছিল ব্ল্যাকক্যাপসরা। কানপুরের গ্রিন পার্কে সারা দিন ভারতীয় স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাট করাটা তো আর চাট্টিখানি কথা না! টম লাথাম, উইলিয়াম সমারভিল, কেইন উইলিয়ামসন ও রাচিন রবীন্দ্ররা এই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন। জয়ের পিছু ছোটার ঝুঁকি না নিয়ে গতকাল পঞ্চম ও শেষ দিন উইকেটে কাটিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। তাতে ৯ উইকেটে ১৬৫ রানে দিনের খেলা শেষ করায় ড্র মেনে নিতে হলো ভারতকে। পাঁচ দিন লড়াইয়ের পর শেষ দিনের রোমাঞ্চে ‘ড্র’ এলেও আসল ‘জয়’টা তো নিউজিল্যান্ডেরই!
২০১০ সালের পর ভারতের মাটিতে এই প্রথম টেস্ট ড্র করল নিউজিল্যান্ড। সেবার হায়দরাবাদ টেস্ট ড্র করেছিল ড্যানিয়েল ভেট্টোরির দল। ভারতের মাটিতে নিউজিল্যান্ড সর্বশেষ টেস্ট জয়ের মুখ দেখেছে ১৯৮৮ সালে মুম্বাই টেস্টে। সে ম্যাচে জন রাইটের নিউজিল্যান্ড ১৩৬ রানে হারিয়েছিল দিলীপ ভেংসরকারের ভারতকে।
কাগজ-কলমের হিসেবে পঞ্চম দিনের লড়াইয়ে মানসিকভাবে এগিয়ে ছিল ভারতই। প্রায় ৯০ ওভারের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বাকি ৯ উইকেট তুলে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল ভারতের বোলারদের। সে চ্যালেঞ্জ জিততে এদিন ৯৪ ওভার বল করার সুযোগ পেয়েও নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করতে পারেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজারা। ১৪৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন লাথাম, ১১০ বলে ৩৬ রান করেন সমারভিল, ১১২ বলে ২৪ রানের ইনিংস এসেছে উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে। টপ-অর্ডারে এ ইনিংসগুলোই বলে দেয় টেস্ট বাঁচাতে উইকেট কামড়ে পড়ে থাকাই শ্রেয় মনে করেছে নিউজিল্যান্ড।
চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে ৪ উইকেটে ১২৫ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ সেশনে ৩৪.৫ ওভারে নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের সুবাসও পাচ্ছিল ভারত। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা রাচিন রবীন্দ্র ৯১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গী এজাজ প্যাটেল করেন ২৩ বলে ২ রান। দশম উইকেটে ৫২ বলে ১০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে হার এড়ায় নিউজিল্যান্ড। ৯১ বলে রাচিনের ১৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি ছিল স্রোতের প্রতিকূলে লড়াই। ৪০ রানে ৪ উইকেট নেন ভারতের স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। ২৫ রানে ৩ উইকেট অশ্বিনের।
ইতিহাসে তাকিয়ে কানপুর টেস্টের ফলটা সম্ভবত আগেই টের পেয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। কানপুরে এর আগে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৪০ রান তুলতে পেরেছে কোনো দল। ১৯৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সে ম্যাচে ভারত চতুর্থ ইনিংসে ২৪০ রান তুলেও হেরেছিল। তবে ভারতের মাটিতে সর্বশেষ ১২ টেস্টেই ফল দেখা গেছে। এই ড্রয়ের মধ্য দিয়ে সেই ধারায় ছেদ পড়ল। দুই ম্যাচের এ টেস্ট সিরিজে ০-০ ব্যবধানে সমতায় রইল দুই দল। মুম্বাইয়ে ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
ভারত : ৩৪৫ ও ২য় ইনিংস : ২৩৪/৭ ডিক্লে.। নিউজিল্যান্ড : ২৯৬ ও ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ২৮৪) (আগের দিন ৪/১) ৯৮ ওভারে ১৬৫/৯ (ল্যাথাম ৫২, সমারভিল ৩৬, সমারভিল ২৪, টেইলর ২, নিকোলস ১, ব্লান্ডেল ২, রাচিন ১৮*, জেমিসন ৫, সাউদি ৪, এজাজ ২*; অশ্বিন ৩/৩৫, আকসার ১/২৩, উমেশ ১/৩৪, জাদেজা ৪/৪০)। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শ্রেয়াস আইয়ার। সিরিজ : ২ টেস্টের সিরিজে প্রথম ম্যাচ শেষে সমতায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।